ইংলিশ ওপেনার জেসন রয় ও জনি বেয়ারেস্টর উড়ন্ত শুরুর পর শেষের দিকে কিছুটা ভাটা পড়েছিল। তবে শেষের দিকে বেন স্টোকস আবার ঝড় তোলেন। তার এই ঝড়েই ভারতের সামনে ৩৩৭ রানের বিশাল এক লক্ষ্য দাঁড় করিয়ে দেয় ইংল্যান্ড।
রোববার (৩০ জুন) বার্মিংহ্যামের এজবাস্টনে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ভারতীয় বোলারদের বিপক্ষে দারুণ ব্যাটিং করেছে ইংল্যান্ড। অসাধারণ সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন ওপেনার জনি বেয়ারেস্ট। বেন স্টোকস করেছেন ৫৪ বলে ৭৯ রান। এছাড়া হাফ সেঞ্চুরি করেছেন জেসন রয়ও। জো রুটও গিয়েছিলেন হাফ সেঞ্চুরি পর্যন্ত।
ভারতীয় বোলার মোহাম্মদ শামি, যাকে সুযোগই দেয়া হচ্ছিল না ভুবনেশ্বর কুমারের জন্য। অথচ সুযোগ পেয়ে তিন ম্যাচ খেলেই তিনি তুলে নিলেন মোট ১৩ উইকেট। টানা তিন ম্যাচ ৪টি কিংবা তারও বেশি উইকেট নিয়েছেন তিনি। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আজ নিলেন ৫ উইকেট।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে জনি বেয়ারেস্ট আর জেসন রয়ের দুর্দান্ত ওপেনিং জুটিতে মনে হচ্ছিল, রানের পাহাড় গড়তে যাচ্ছে ইংল্যান্ড। কিন্তু ইনিংসের মাঝপথে এসে দ্রুত তিন উইকেট তুলে নিয়ে হঠাৎই ম্যাচের রাশ নিজেদের দিকে টেনে ধরতে সমর্থ হয় বিরাট কোহলির দল। এরপর আবার বেন স্টোকসের ঝড়, ম্যাচ চলে যায় ইংল্যান্ডের হাতে।
শুরুতে দুই ওপেনারের ব্যাটে যেন টর্নেডো বয়ে যাচ্ছিল ভারতীয় বোলারদের ওপর। মাত্র ২২ ওভারেই ১৬০ রানের জুটি গড়ে ফেলেন দুই ইংলিশ ওপেনার জেসন রয় এবং জনি বেয়ারেস্ট। একের পর এক বোলার ব্যবহার করেও এই জুটি ভাঙতে পারছিলেন না ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলি।
২৩তম ওভারের প্রথম বলে গিয়ে শেষ পর্যন্ত জুটি ভাঙতে পারলেন কুলদিপ যাদব। তবে এ ক্ষেত্রে বোলার কুলদিপের চেয়ে ফিল্ডার রবীন্দ্র জাদেজার কৃতিত্বই সবচেয়ে বেশি। দুর্দান্ত এক ডাইভ দিয়ে ক্যাচটি তালুবন্দী করে নেন জাদেজা। ৫৭ বলে ৬৬ রান করে ফিরে যান জেসন রয়। ৭টি বাউন্ডারির সঙ্গে ২টি ছক্কার মার মারেন তিনি।
রয় আউট হয়ে গেলেও অন্য প্রান্তে ঠিকই নিজের তাণ্ডব চালিয়ে যাচ্ছেন অপর ওপেনার জনি বেয়ারেস্ট। ভারতীয় বোলারদের চারদিকে পিটিয়ে ৯০ বলেই পূরণ করে ফেলেন নিজের ক্যারিয়ারের ৮ম সেঞ্চুরি। ৮ বাউন্ডারি এবং ৪ ছক্কায় তিনি সেঞ্চুরির মাইলফলকে পৌঁছান।
তবে সেঞ্চুরি করার পর খুব বেশিদুর এগুতে পারলেন না। নিজের ১১১ রানের মাথায় মোহাম্মদ শামির বলে রিশাভ পান্তের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান বেয়ারেস্ট। ১০৯ বলে খেলা ইনিংসটি সাজানো ছিল তার ১০ বাউন্ডারি এবং ৬ ছক্কায়।
অধিনায়ক ইয়ন মরগ্যান ৯ বল খেলে মাত্র ১ রান করেন। মোহাম্মদ শামির বলে কেদার যাদবের হাতে ক্যাচ দেন তিনি।