সোমবার (১ জুলাই) থেকে কার্যকর হচ্ছে ২০১৯-২০ অর্থবছরের নতুন বাজেট। দীর্ঘ অপেক্ষার পর সোমবার থেকে নতুন ভ্যাট আইনও কার্যকর হবে। ব্যবসায়ীদের নানা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আইনটির বাস্তবায়ন ছিল সরকারের জন্য বড় চ্যলেঞ্জ। অবশেষে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বিস্তর আলাপ-আলোচনা করে আইনের নানাদিক সংযোজন-বিয়োজন শেষে এটি চালু হচ্ছে। ২০১২ সাল থেকে এ নিয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সরকারের মতবিরোধ থাকলেও তা মিটে গেছে বলে দাবি করেছেন অর্থমন্ত্রী।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারের টানা তৃতীয় মেয়াদের প্রথম বাজেট এটি। অর্থমন্ত্রী হিসেবে আ হ ম মুস্তফা কামালের এটি প্রথম বাজেট।
গত ১৩ জুন অর্থমন্ত্রী জাতীয় সংসদে ২০১৯-২০ অর্থবছরের জন্য মোট ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপন করেছিলেন। এবার বাজেটের জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ধরা হয়েছে ৮ দশমিক ২ শতাংশ। নতুন বাজেটে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) ধরা হয়েছে ২ লাখ ২ হাজার ৭২১ কোটি টাকা।
নতুন বাজেটের এডিপিতে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগকে। এডিপিতে মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মধ্যে সর্বোচ্চ বরাদ্দ পেয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগ ২৯ হাজার ৭৭৬ কোটি টাকা। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ ২৬ হাজার ১৪ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। ২৫ হাজার ১৬৩ কোটি ৩৬ লাখ টাকা নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে আছে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ।
‘সমৃদ্ধ আগামীর পথযাত্রায় বাংলাদেশ, সময় এখন আমাদের, সময় এখন বাংলাদেশের’ শিরোনামে এবারের বাজেটে করের হার না বাড়িয়ে এর আওতা বাড়িয়ে রাজস্ব আদায়ের কৌশল দেখানো হয়েছে। করদাতার সংখ্যা ২০ লাখ থেকে বাড়িয়ে ১ কোটিতে উন্নীত করার কথা বলা হয়েছে বাজেটে।
বাজেটে শিক্ষাখাতের সংস্কার, আর্থিক খাতের সংস্কার, শেয়ার বাজারে সুশাসন ও প্রণোদনা বিষয়ে সংস্কারমূলক দিকনির্দেশনা রয়েছে।
সরকারের পক্ষ থেকে বারবার বলা হয়েছে, দক্ষতা উন্নয়ন, কর্মসৃজন ও মানবসম্পদকে গুরুত্ব দিয়ে তৈরি করা হয়েছে এবারের বাজেট।
জয়নিউজ/আরসি