চোখ রাঙাচ্ছিলেন রোহিত ও রাহুল জুটি। যেভাবে শুরু করেছিল এ জুটি, ঠিক সেভাবে শেষ করতে পারেননি তাঁরা। মুস্তাফিজের ৫ শিকারে কাটা পড়ল ভারতের রান পাহাড়ে উঠার স্বপ্ন। সেমির স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখতে বাংলাদেশকে করতে হবে ৩১৫ রান।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) বামিংহ্যামে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে রোহিতের টানা দুই সেঞ্চুরি ও রাহুলের ফিফটিতে উদ্বোধনী জুটিতে তুলে ১৮১ রান। এরপর সৌম্য-মুস্তাফিজ-সাকিবের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ধারুণভাবে ম্যাচে ফেরে বাংলাদেশ। ভারত নির্ধারিত ওভার শেষে ৯ উইকেটে সংগ্রহ করে ৩১৪ রান।
বোলিংয়ে এসে নিজের তৃতীয় ও ইনিংসের ৩০তম ওভারে রোহিত শর্মাকে আউট করেন সৌম্য সরকার। সৌম্যের অফকাটারে এক্সট্রা কাভার অঞ্চলে ক্যাচ নেন লিটন দাস। আউট হওয়ার আগে রোহিত শর্মা চলতি বিশ্বকাপে নিজের চতুর্থ সেঞ্চুরি পূর্ণ করে সংগ্রহ করেন ১০৪ রান। ৯২ বলে সাজানো ইনিংসে ছিল ৭টি চার ও পাঁচটি ছক্কা।
এর আগে ম্যাচের ৫ম ওভারে মোস্তাফিজুর রহমানের বলে রোহিত শর্মার (৯) ক্যাচ ফেলে দেন তামিম ইকবাল। এর পরে এই ওপেনার আর পিছু ফিরে তাকাননি। বাংলাদেশের বোলারদের সাবলীলভাবে খেলে নিজের ২৬তম সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন রোহিত শর্মা।
দলীয় ১৯৫ রানের মাথায় বিদায় নেন আরেক ওপেনার লোকেশ রাহুল। রুবেল হোসেনের বলে উইকেটের পেছনে মুশফিকের গ্লাভসবন্দি হন তিনি। তার আগে ৯২ বলে ছয়টি চার আর একটি ছক্কায় করেন ৭৭ রান। দলীয় ২৩৭ রানের মাথায় বিদায় নেন দলপতি বিরাট কোহলি। ইনিংসের ৩৯তম ওভারে মোস্তাফিজের বলে মিড উইকেটে রুবেলের হাতে ধরা পড়েন আগের পাঁচ ইনিংসে টানা ফিফটি প্লাস ইনিংস খেলা কোহলি। সাজঘরে ফেরার আগে ২৭ বলে তিনটি বাউন্ডারিতে কোহলি করেন ২৬ রান। এক বল পরেই বিদায় নেন হার্দিক পান্ডিয়া। একই ওভারে জোড়া আঘাত হানেন ফিজ।
এরপর ইনিংস টেনে নিতে থাকেন রিশব পান্ত এবং মহেন্দ্র সিং ধোনি। দলীয় ৪৫তম ওভারের প্রথম বলে সাকিব ফিরিয়ে দেন রিশবকে। ৪১ বলে ছয়টি চার আর একটি ছক্কায় ৪৮ রান করে মোসাদ্দেকের তালুবন্দি হন রিশব পান্ত। সাকিব নিজের শেষ ওভারে গিয়ে প্রথম উইকেট পান।
ইনিংসের ৪৮তম ওভারে মোস্তাফিজ ফিরিয়ে দেন দীনেশ কার্তিককে। ব্যক্তিগত ৮ রানে ফিজের অফকাটারে কাটা পড়েন কার্তিক, ক্যাচ তুলে দেন মোসাদ্দেকের হাতে। দলীয় ২৯৮ রানের মাথায় ষষ্ঠ উইকেট হারায় ভারত। শেষ ওভারে মোস্তাফিজ তুলে নেন মহেন্দ্র সিং ধোনিকে। সাকিবের হাতে ধরা পড়ার আগে ধোনি ৩৩ বলে চারটি বাউন্ডারিতে করেন ৩৫ রান। শেষ ওভারে রানআউট হন ভুবনেশ্বর কুমার। শেষ বলে মোস্তাফিজ বোল্ড করেন বুমরাহকে।
সাকিব নেন একটি উইকেট। মোসাদ্দেক হোসেন ৪ ওভারে ৩২ রান দিয়ে কোনো উইকেট পাননি। সৌম্য সরকার ৬ ওভারে ৩৩ রান দিয়ে তুলে নেন একটি উইকেট। রুবেল হোসেন ৮ ওভারে ৪৮ রানে নেন একটি উইকেট। মাশরাফি ৫ ওভারে ৩৬ রান খরচায় কোনো উইকেট পাননি। সাইফউদ্দিন ৭ ওভারে ৫৯ রান দিয়ে কোনো উইকেট পাননি।
মোস্তাফিজ নেন পাঁচ উইকেট। এছাড়া সাকিব, সৌম্য ও রুবেল হোসেন নেন ১টি করে উইকেট।