কক্সবাজারের চকরিয়ায় মোবাইল চুরির অপবাদে মোহাম্মদ হাসান নামে এক কিশোরের ওপর দফায় দফায় অমানুষিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে।
হাসানের ওপর নির্যাতনের চিত্র নির্যাতনকারীরা ভিডিও করে ফেসবুকে ছড়িয়ে দিলে তা সর্বত্র ভাইরাল হয়ে যায়। হাসান চকরিয়া পৌরসভার দুই নম্বর ওয়ার্ডের জালীয়াপাড়া গ্রামের মৃত জাকের আহমদের ছেলে।
তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে সে ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
বুধবার (৩ জুলাই) সকালে চকরিয়া পৌর শহরের হক মার্কেট কাঁচা বাজার ও তরছঘাটা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নির্যাতনের শিকার মোহাম্মদ হাসানের বড় ভাই আনছারুল করিম বলেন, তার ছোট ভাই মোহাম্মদ হাসান চকরিয়া পৌর শহরের চিরিঙ্গা হক মার্কেট কাঁচা বাজারের একটি মুরগির দোকানে কর্মচারী হিসেবে কাজ করে। প্রতিদিনের মতো বুধবার সকালেও সে বাড়ি থেকে তার কর্মস্থলে যায়।
‘দোকানে কাজ করার সময় সকাল ৭টার দিকে হঠাৎ মোবাইল চুরির মিথ্যা অভিযোগ এনে ৫-৬ জন বখাটে যুবক আমার ভাই হাসানের ওপর অমানুষিক নির্যাতন চালায়। চকরিয়া পৌর এলাকার তিন নম্বর ওয়ার্ডের তরছঘাটা এলাকার জনু সওদাগরের ছেলে মিনহাজ উদ্দিন, একই এলাকার রশিদ আহামদের ছেলে আজিম ও তার বন্ধু ওসমান গণির নেতৃত্বে এ নির্যাতন চালানো হয়।’ যোগ করেন তিনি।
আনছারুল করিম আরও বলেন, একপর্যায়ে বখাটেরা হাসানকে নির্যাতন চালিয়ে পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের তরছঘাট এলাকায় নিয়ে যায়। সেখানে তাকে গাছের সঙ্গে বেঁধে আবারও অমানুষিক নির্যাতন চালানো হয়। পরে স্থানীয় লোকজন মুমূর্ষু অবস্থায় হাসানকে উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে সর্বত্র তোলপাড় সৃষ্টি হয়। ফেসবুক ব্যবহারকারীরা সামাজিক মাধ্যমে এসব বখাটেদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনারও দাবি জানায়।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাবিবুর রহমান জয়নিউজকে বলেন, চুরির অপবাদে কিশোরের ওপর নির্যাতনের ব্যাপারে থানায় কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।