নিজেদের শেষ ম্যাচে জয় পেতে বাংলাদেশকে নিতে হবে ৩১৬ রান। টস জিতে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে সরফরাজের দল সংগ্রহ করে ৩১৫ রান। ভারত ম্যাচের পর আবারও পাঁচ উইকেট নিয়ে চলতি বিশ্বকাপে সেরা উইকেট শিকারীর তালিকায় দুইয়ে উঠে এসেছেন মুস্তাফিজ। সেই সঙ্গে লর্ডসের অনার্স বোর্ডে নিজের নাম উঠিয়ে নিয়েছেন এ কাটার মাস্টার।
পাকিস্তানের হয়ে সেঞ্চুরি করেছেন ওপেনার ইমাম উল হক। সেঞ্চুরি করেই হিট আউট হয়ে ফিরেছেন এ ব্যাটসম্যান। মাত্র ৪ রানের জন্য সেঞ্চুরিবঞ্চিত হন বাবর আজম।
শুক্রবার (৫ জুলাই) ক্রিকেটের মক্কা খ্যাত লর্ডসে বাংলাদেশ সময় দুপুর সাড়ে তিনটায় শুরু হয় ম্যাচটি। একাদশে দুটি পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামে বাংলাদেশ। সাব্বির আর রুবেলের জায়গায় একাদশে ফিরেছেন মাহমুদউল্লাহ আর মিরাজ।
ইনিংসের অষ্টম ওভারের দ্বিতীয় বলে ২৩ রানে ফখর জামানের বিদায়ের পর ওপেনার ইমাম-উল-হকের সঙ্গে জুটি বাঁধেন বাবর আজম। তাদের ১৫৭ রানের জুটি ভাঙার পর ক্রিজে আসেন মোহাম্মদ হাফিজ।
স্কোরবোর্ডে আরও ৬৬ রান যোগ করেন ওপেনার ইমাম উল হক এবং মোহাম্মদ হাফিজ। দলীয় ২৪৬ রানের মাথায় বিদায় নেন ইমাম। মোস্তাফিজের বলে ব্যাকফুটে খেলতে গিয়ে স্টাম্পে পা লাগিয়ে নিজের উইকেট ভেঙে দেন ইমাম। তার আগে লর্ডসের অনার্স বোর্ডে নাম লেখান এই সেঞ্চুরিয়ান।
মিরাজের বলে সাকিবের হাতে ধরা পড়ার আগে হাফিজ করেন ২৭ রান।এরপর শুরু হয় মোস্তাফিজের কাটার যাদু। ইনিংসের ৪৩তম ওভারে মোস্তাফিজের পঞ্চম বলে হারিস সোহেলের ক্যাচ এক্সট্রা কাভার অঞ্চলে লুফে নেন সৌম্য সরকার। ব্যক্তিগত ৬ রান করে সাজঘরে ফিরেন পাকিস্তানের হারিস সোহেল। এটি মোস্তাফিজের একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে ১০০তম উইকেট। চতুর্থ দ্রুততম বোলার হিসেবে ১০০ উইকেটের মালিক হন ফিজ।
৪৫তম ওভারের খেলা শেষে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠের বাইরে যান পাকিস্তান অধিনায়ক সরফরাজ (২)। ইনিংসের ৪৬ তম ওভারের পঞ্চম বলে সাইফউদ্দিনের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন ওয়াহাব রিয়াজ (২)। ম্যাচে এটি সাইফউদ্দিনের তৃতীয় উইকেট। এরপর নিজের বলেই ক্যাচ নিয়ে মোস্তাফিজ বিদায় করেন ১ রান করা শাদাব খানকে। ২৬ বলে ৪৩ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে ইনিংসের শেষ ওভারে বিদায় নেন ইমাদ ওয়াসিম। ইমাদকে আউট করে মোস্তাফিজ তার চতুর্থ উইকেট তুলে নেন। চতুর্থ বলে ইমাদকে বিদায়ের পরের বলেই ফিজ ফিরিয়ে দেন ৮ রান করা মোহাম্মদ আমিরকে। হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগলেও শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আসা সরফরাজকে ফেরাতে পারেননি ফিজ।
সাইফউদ্দিন তিনটি উইকেট তুলে নেন। মিরাজ নিয়েছেন একটি উইকেট।