‘ছাত্র নামধারী কতিপয় দুষ্কৃতিকারী বারবার শিক্ষার পরিবেশ কলুষিত করছে। আইনের যথাযথ প্রয়োগ না থাকায় তারা থাকছে ধরাছোঁয়ার বাইরে।’
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের প্রাক্তন অধ্যাপক ও ইউএসটিসি’র ইংরেজি বিভাগের উপদেষ্টা অধ্যাপক মাসুদ মাহমুদকে হত্যাচেষ্টার প্রতিবাদে শিক্ষক সমাবেশ ও মানববন্ধনে এসব কথা বলেন চট্টগ্রামের শিক্ষক নেতারা।
শুক্রবার (৫ জুলাই) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি (বাকবিশিস) চট্টগ্রাম জেলার উদ্যোগে এ প্রতিবাদ কর্মসূচি পালিত হয়।
মাসুদ মাহমুদের গায়ে ইউএসটিসি’র কয়েকজন ছাত্র ৩ জুলাই কেরোসিন ঢেলে দেয়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন শিক্ষক-গবেষক এবং দৃঢ়চেতা অধ্যাপক মাসুদ মাহমুদকে দিয়ে অন্যায় কাজ করাতে না পেরে কিছু ছাত্র নামধারী বখাটে দুষ্কৃতিকারী প্রশাসনের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে লাঞ্ছিত করে হত্যাচেষ্টায় লিপ্ত হয়। এ ধরনের অপচেষ্টার মাধ্যমে বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় এক নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে বর্তমান সরকারকে বেকায়দায় ফেলা হচ্ছে।
তাই এই কর্মকান্ডের সঙ্গে জড়িত চিহ্নিত দুষ্কৃতিকারীদেরকে দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান নেতৃবৃন্দ।
বাকবিশিস চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ রফিক উদ্দীনের সভাপতিত্বে সমাবেশে সংহতি প্রকাশ করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক মাঈনুল হাসান চৌধুরী।
বক্তব্য রাখেন বাকবিশিস কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো. জাহাঙ্গীর, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ড. গনেশ রায়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. বেনু কুমার দে, অধ্যাপক তড়িৎ কুমার ভট্টাচার্য, অধ্যাপক এস এম নুরল হুদা, অধ্যাপক অজিত দাশ, অধ্যাপক শ্যামল দাশ, অধ্যাপক লতিফা কবির, অধ্যাপক শীলা দাশগুপ্তা, অধ্যাপক আলম আকতার, অধ্যাপক মো. জাকের হোছাইন, অধ্যাপক পুলক রায়, অধ্যাপক ভবরঞ্জন বণিক, উপাধ্যক্ষ দেবপ্রিয় বড়ুয়া অয়ন, উপাধ্যক্ষ বশির উদ্দিন কনক, অধ্যাপক আশরাফ উল্লাহ, অধ্যাপক অসীম চক্রবর্তী, অধ্যাপক সাইফুদ্দিন মোরশেদ, অধ্যাপক স্বপন সেন।