বর্ষার ভর মৌসুমেও খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলাজুড়ে চলছে তীব্র খরা। ফলে কৃষক আমন ধানের বীজতলা তৈরি করতে পারছেন না। অনাবৃষ্টির কারণে কৃষক বীজ উৎপাদনে সংকটে পড়েছেন।
খরায় নদী-নালা, খাল-বিল শুকিয়ে যাওয়ায় সেচ ব্যবস্থাও অচল হয়ে পড়েছে। এভাবে খরা চলতে থাকলে আমন উৎপাদন অনেকটাই ঝুঁকির মধ্যে পড়বে বলে জানিয়েছেন কৃষকেরা।
কৃষক দেলোয়ার হোসেন জয়নিউজকে বলেন, বর্তমানে বৃষ্টি না হওয়ার কারণে সময়মতো আমন ধান রোপণ করতে পারছি না। দেরিতে চারা রোপণ করলে ফসলের ফলন কম ও রোগ-বালাইয়ের আশঙ্কা থেকে যায়।
কৃষক মো.আজিজুল হক জয়নিউজকে জানান, পৌরসভার ফেনীরকুল, মহামুনি, দারোগাপাড়া, চৌধুরীপাড়া, কালাডেবা, সদু কার্বারিপাড়া, খাগড়াবিলসহ উপজেলার প্রধান ধান চাষের জমিগুলোতে সরকারিভাবে পানির সেচ ব্যবস্থা নেই। সরকারিভাবে পানির সেচ ব্যবস্থা চালু থাকলে কৃষক উপকৃত হতো।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মো.সানাউল হক জয়নিউজকে বলেন, এ সময় বৃষ্টি না হলে আমন ফসলের ব্যাপক ঘাটতির সম্ভাবনা রয়েছে।
সেচ পাম্প প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ বিষয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরকে বরাদ্দ দেওয়া হয় না। তবে উপজেলা সমবায় সমিতি কর্তৃক রেজিস্ট্রেশনকৃত ৩০টি কৃষি এনএডিপি প্রকল্প সমিতির মাধ্যমে উপজেলার ৯০০ কৃষককে কৃষি যন্ত্রাংশ সুবিধা দেওয়া হয়। এতে অনাবৃষ্টিতেও ডিজেলচালিত সেচ পাম্প ব্যবহারের সুযোগ থাকে।