ভারি বর্ষণে সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় ডুবে আছে নগরের বেশিরভাগ সড়ক। তাই বলে বিদ্যালয়ে পাঠদানতো বন্ধ রাখার সুযোগ নেই। এ কারণে টানা বর্ষণে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন স্কুল-কলেজগামী শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
এই টানাবৃষ্টির জন্য ব্যাহত হচ্ছে বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষা কার্যক্রম। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খোলা থাকলেও শিক্ষার্থী উপস্থিতি খুব কম। ফলে যথাসময়ে সিলেবাস শেষ করা নিয়ে শিক্ষক-অভিভাবকদের মধ্যে দেখা দিয়েছে সংশয়।
বিভিন্ন বিদ্যালয় ঘুরে দেখা গেছে, শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি নেই বললেই চলে। কয়েকটি বিদ্যালয়ে ষান্মাসিক পরীক্ষা চললেও, ভারি বৃষ্টির কারণে অনেক শিক্ষার্থী পরীক্ষায়ও অংশ নিতে পারছে না।
রোজা ও ঈদের দীর্ঘ ছুটির পর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হলেও, টানা বর্ষণের কারণে বিদ্যালয়গুলোতে এখন শিক্ষার্থীর উপস্থিতি নেই বললেই চলে। হাজী মুহম্মদ মহসিন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, চট্টগ্রাম সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়, ডা. খাস্তগির বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, কদম মোবারক সিটি করপোরেশন উচ্চ বিদ্যালয়ে গিয়ে সোমবার (৮ জুলাই) এ চিত্র দেখা যায়।
নগরের কাজীর দেউড়ি প্রাথমিক বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা প্রিয়ঙ্কা তালুকদার জয়নিউজকে বলেন, স্কুল যথাসময়ে শুরু হয়েছে। কিন্তু আজ উপস্থিতি একদম কম। সকাল থেকেই বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টির জন্য ছেলেমেয়েরা স্কুলে আসেনি।
ছালেহ জহুর সিটি করপোরেশন উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী তানজিলা নূর জয়নিউজকে বলেন, দুইদিন ধরে একটানা বৃষ্টি হচ্ছে। নগরের বেশিরভাগ সড়ক ও অনেকের ঘরেও পানি উঠে গেছে। তাই স্কুলে আসতে পারছে না অনেকেই। আমাদের ব্যবহারিক খাতায় স্বাক্ষর করানোর জন্যই স্কুলে আসতে হয়েছে।
একজন অভিভাবক আবুল কালাম জানান, ছেলে-মেয়েদের বৃষ্টির দিনে স্কুলে পাঠিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকতে হয়। সড়কগুলোতে জমেছে পানি। খানাখন্দে ভরা সড়ক। কখন কি দুর্ঘটনা ঘটে! তাছাড়া বৃষ্টিতে ভিজে বাচ্চাদের অসুখ-বিসুখের সম্ভাবনা থাকে। তাই পারতপক্ষে বাচ্চাদের এ সময় স্কুলে পাঠাতে চান না শিক্ষার্থীরা।
জয়নিউজ/হিমেল/আরসি