লক্ষ্মীপুরের রামগতির সুফির বাজারে সালিশি বৈঠকে দুই পক্ষের হামলায় এক স্কুল শিক্ষকসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।
রোববার (৭ জুলাই) রাতে সুফিয়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
এসময় হামলাকারীরা একটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে।
হামলায় গুরুতর আহত রামগতি পৌর ছাত্রলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক সজিবুর রহমান, স্কুলশিক্ষক ইকবাল হোসেন, আকরাম হোসেন, মিজানুর রহমান ও মহিউদ্দিনকে রামগতি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং অন্যদের স্থানীয় ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
আহত মিজানুর রহমান হাসপাতালে জয়নিউজকে জানান, সুফির বাজারে তাদের দুটি দোকানঘর রয়েছে। ওই দোকানঘর নির্মাণের কাজ করছিলেন তারা। ইতোমধ্যে আবদুর রব সুমন তার লোকজন নিয়ে ১ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদার কিছু টাকা পরিশোধও করা হয়েছে। বাকি টাকা না দেওয়ায় শুক্রবার রাতে দোকানের বিদ্যুতের মিটারের তার ছিঁড়ে দেয় আবদুর রব সুমন।
এ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে রোববার রাতে সুফির বাজারে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম একটি সালিশি বৈঠকের আয়োজন করে। ওই শালিস বৈঠকের মধ্যে আবুল কাশেম ও তার ছেলে আবদুর রব সুমন ৩০/৪০ জন সন্ত্রাসী এনে হামলা চালায়। এতে ১৭ জন আহত হন।
অপরদিকে প্রতিপক্ষ আবুল কাশেম জয়নিউজকে বলেন, সালিশি বৈঠক শুরু না হতে অতর্কিত হামলা চালানো হয় তাদের ওপর। এতে আবদুর রব সুমনসহ আহত হন তিনজন।
বৈঠকে উপস্থিত চর আলগীর সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম জানান, দুইপক্ষকে নিয়ে সালিশি বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল। সালিশি বৈঠক শুরু হতে না হতেই দুইপক্ষের মধ্যে হামলা,পাল্টা হামলা ও মারামারি শুরু হয়। এতে কয়েকজন আহত হয়। তবে প্রথমে হামলা চালায় আবদুর রব সুমনের লোকজন।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এটিএম আরিচুল হক জয়নিউজকে বলেন, এ বিষয়ে কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।