রাউজানে ভরাট হয়ে যাওয়া খালগুলো খননের সুফল মিলতে শুরু করেছে। টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের পানি দ্রুত খাল দিয়ে চলে যাওয়ায় বন্যা থেকে রক্ষা পেয়েছে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা।
শনিবার (৬ জুলাই) বিকেলে রাউজানে বৃষ্টি শুরু হয়। মঙ্গলবার (৯ জুলাই) এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত উপজেলায় ভারি বৃষ্টি হচ্ছিল।
টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের পানিতে রাউজানের বিভিন্ন এলাকার ফসলি জমি ও গ্রামের বেশকিছু সড়ক পানিতে ডুবে যায়।
তবে খালগুলো নতুন করে খনন করায় হলদিয়া, ডাবুয়া, চিকদাইর, গহিরা, বিনাজুরী ইউনিয়ন ও রাউজান পৌরসভা এলাকায় জমে থাকা পানি দ্রুত নেমে যাচ্ছে। যে কারণে এবার ক্ষয়ক্ষতিও হচ্ছে গত কয়েক বছরের চেয়ে কম।
রাউজানের সাংসদ এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) অর্থায়নে রাউজানের ভরাট হয়ে যাওয়া খালগুলো খননে উদ্যোগ নেন। এই খালগুলোর মধ্যে রয়েছে খাসখালী খাল, পুরাতন খাসখালী খাল, বেরুলিয়া খাল, লাঠিছড়ি খাল, ডাবুয়ায় রাজা খাল, ভোমরঢালা খাল, কাগতিয়া খাল, মধুখালী খাল, মুগদা খাল, হরনাথছড়া খাল, রাউজান খাল ও কুমারখালী খাল।
ডাবুয়া ইউনিয়নের মেম্বার জাহাঙ্গীর আলম ও মিটু শীল জয়নিউজকে বলেন, আগে বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টি হলে পাহাড়ি ঢলের পানিতে ডাবুয়ার বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হত। রাজা খাল খনন করায় বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের পানি দ্রুত প্রবাহিত হওয়ায় এবার এলাকার বাসিন্দাদের ভোগান্তি অনেক কমেছে।