টানা ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে সড়কের উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হওয়ায় বান্দরবানের সঙ্গে সারাদেশের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
এতে করে চরম দুর্ভোগে পড়েছে স্থানীয় ও পর্যটকরা। কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে খরস্রোতা শঙ্খ নদী, ডলু নদী ও হাঙ্গর খালে পানি বৃদ্ধি পেয়ে প্লাবিত হয়েছে সাতকানিয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকা। এতে তলিয়ে গেছে বিভিন্ন গ্রামীণ সড়ক।
উপজেলার ছদাহা, মাদার্শা, আমিলাইশ, চরতী, ঢেমশা, পশ্চিম ঢেমশা, খাগরিয়া, বাজালিয়া, নলুয়া, কেঁওচিয়া, কাঞ্চনা, সোনাকানিয়া, এওচিয়া, সাতকানিয়া সদর, পুরানগড়, কালিয়াইশ ও ধর্মপুর ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে লক্ষাধিক মানুষ।
সাতকানিয়া সদরের পাটিয়াল পাড়ায় ডলু নদীতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে। যেকোনো সময় বাঁধ ভেঙে নতুন করে প্লাবিত হতে পারে বিভিন্ন এলাকা। স্বাভাবিকের চেয়ে ৩-৪ ফুট পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় পানিতে তলিয়ে গেছে আমন, আউশ ও শাকসবজিসহ বিভিন্ন মৎস্য খামার।
এদিকে প্রবল বর্ষণের মধ্যেই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ডিগ্রি তৃতীয় বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সাতকানিয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ কৃষ্ণ চন্দ্র দত্ত জয়নিউজকে জানান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে তৃতীয় বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষা স্থগিত না হওয়ায় প্রবল বর্ষণের মধ্যেও পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরীক্ষার্থীরা বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়া সাতকানিয়া সরকারি কলেজ কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মোবারক হোসেন জয়নিউজকে বলেন, কেরানীহাট-বান্দরবান সড়কের বিভিন্ন এলাকা পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় বান্দরবানের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। পাহাড় ধস এড়াতে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানদের সহযোগিতায় পাহাড়ের পাদদেশ থেকে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের সরিয়ে আনা হয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার প্রতাপ চন্দ্র রায় জয়নিউজকে জানান, পাহাড়ি ঢলে উপজেলার ২০ হেক্টর আমন, ৬০ হেক্টর আউশ ধানের বীজতলা ও ৫০ হেক্টর শাকসবজির ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে।