সাংবাদিক, গবেষক, সমসাময়িক বিশ্লেষক এবং গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব মুহাম্মদ জাহাঙ্গীরের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা (সিএজে) বিভাগ পরিবার।
বুধবার (১০ জুলাই) দুপুরে বিভাগের সভাপতি মো. আবুল কালাম আজাদ এক শোক বার্তায় বলেন, এই সংবাদ আমাদের শোকাতুর করেছে।
অধ্যাপক ড. সহিদ উল্যাহ (লিপন) বলেন, বাংলাদেশে সাংবাদিকতা ও উন্নয়ন যোগাযোগের বিদ্যায়তনিক প্রসারে প্রয়াত মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর একজন পাইওনিয়ার। বিশেষ করে মিডিয়া সবাইকে নিয়ে আলোচনা করে, সেই মিডিয়া নিয়েও যে প্রচুর আলোচনা হতে পারে এবং তা সারাদেশে ছড়িয়ে দেওয়া যায়, সেটা উনি প্রমাণ করেছেন। বাংলাদেশের গণমাধ্যম সঙ্গত কারণেই উনার অভাববোধ করবে।
অধ্যাপক আলী আজগর চৌধুরী বলেন, প্রয়াত মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর রাজনৈতিক মতাদর্শের ওপরে উঠে বাংলাদেশে সাংবাদিকতার চর্চার ক্ষেত্রে অনুকরণীয় এবং দৃষ্টান্ত। দেশে সাংবাদিকতার শিক্ষা প্রসারে তাঁর অবদান চিরস্মরণীয়।
বিভাগের সভাপতি মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, দেশের গণমাধ্যম শিক্ষা এবং সাংবাদিকতার বিকাশে তাঁর অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তাঁর মৃত্যুতে গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতা ক্ষেত্রে যে অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেল, তা পূরণ হওয়ার নয়। আমরা যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা পরিবার শোকাহত।
প্রসঙ্গত, ১৯৯৪ সালে প্রতিষ্ঠিত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভিাগ পরিবারের সঙ্গে প্রয়াত জাহাঙ্গীরের হৃদ্যতার সম্পর্ক ছিল। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৮ বছর।
বাংলাদেশ টেলিভিশনের (বিটিভি) আলোচনাধর্মী অনুষ্ঠান অভিমত। যা বিটিভি অনুষ্ঠানের মধ্যে প্রথম টকশো জাতীয় অনুষ্ঠান হিসেবে মনে করা হয়। এর সঞ্চালক ছিলেন মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর। প্রয়াত জাহাঙ্গীর ২৫টি বইয়ের রচয়িতা। যার বেশিরভাগই সাংবাদিকতা নির্ভর। তিনি ছিলেন সেন্টার ফর ডেভেলপমেন্ট কমিনিউকেশনের নির্বাহী পরিচালক। সাংবাদিকতার পাশাপাশি দু’টি বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতা বিষয়ের শিক্ষক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।