খাগড়াছড়িতে পাহাড়ি ঢল ও কয়েক দিনের টানা বর্ষণে জেলার পানছড়িতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। টানা বৃষ্টিতে জনজীবনে দুর্ভোগ তৈরি হয়েছে। অব্যাহত বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে ভেঙে গেছে দুধকছড়া ব্রিজ। নদীগর্ভে হারিয়ে গেছে চেঙ্গী ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের একটি অংশ। পাহাড় ধসে বন্ধ হয়ে গেছে মুনিপুর-তারাবন সড়ক যোগাযোগ।
পাহাড়ি ঢলে পুজগাঙ নদীগর্ভে বিলীন হতে চলেছে পানছড়ির চেঙ্গী ইউপির একমাত্র টিনসেট ভবনটি। গেল চারদিনের টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে ভাঙণের মুখে পড়েছে ইউপি ভবনটি। ইতোমধ্যে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে ইউপি চেয়ারম্যানের অফিস কক্ষ। সে সঙ্গে নদীর পানিতে তলিয়ে গেছে ইউপির গুরুত্বপূর্ণ অনেক কাগজপত্রও।
দ্রুত নদীর ভাঙণরোধ করা না হলে চেঙ্গী ইউপি ভবন পুরোপুরি নদীগর্ভে হারিয়ে যাবে, এমননটাই বলেছেন চেঙ্গী ইউপি চেয়ারম্যান কালা চাঁদ চাকমা।
তিনি বলেন, জনগনের সেবা প্রদানের একমাত্র ঠিকানাটি নদীগর্ভে হারিয়ে গেলে এখানকার মানুষ ভোগান্তিতে পড়বে।
এদিকে টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে দুধকছড়া ব্রিজ ভেঙে এক অংশ দেবে গেছে। একইসঙ্গে বাবুরাপাড়া ও পুজগাং ব্রিজ পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় কমপক্ষে ২০/৩০টি গ্রামের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
অন্যদিকে পাহাড়ি ঢলে পানছড়ির দুধকছড়া, মধুমঙ্গলপাড়া, বাবুরাপাড়া, হারুবিল ও পুজগাং বাজারসহ কয়েকটি এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে।
ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি নিশ্চিত করে পানছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের কাছে সরেজমিনে গিয়েছি। সড়ক যোগাযোগ স্বাভাবিক রাখাসহ জনদুর্ভোগ নিরসনে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্ঠা করছি।