অবিরাম ভারি বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে প্রধান সড়ক প্লাবিত হওয়ায় বান্দরবানের সঙ্গে সারাদেশের সড়ক যোগাযোগ দ্বিতীয়দিনের মতো বিচ্ছিন্ন রয়েছে। তবে বৃষ্টিপাত কমে যাওয়ায় বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে জেলায়। সাঙ্গু নদীর পানিও কমতে শুরু করেছে।
বুধবার (১০ জুলাই) সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় যাত্রীরা নৌকা এবং রিক্সা-ভ্যানে করে প্লাবিত সড়কের তিনটি পয়েন্ট পার হয়েছে কয়েকগুন বেশি ভাড়ায়। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং ঢাকাগামী কোনো যাত্রীবাহি বাস বান্দরবান শহর ছেড়ে না গেলেও প্লাবিত সড়কের দু’পাশে কিন্তু গণপরিবহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। যে কারণে চরম দূর্ভোগের মাঝেও প্রয়োজনে ভোগান্তিকে সহ্য করে গন্তব্যে ছুটেছেন যাত্রীরা।
জেলা পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শুভ্রত দাশ ঝুন্টু বলেন, বান্দরবান-চট্টগ্রাম-কেরানীহাট প্রধান সড়ক থেকে বন্যার পানি এখনো নামেনি। সড়ক প্লাবিত হওয়ায় সারাদেশের সঙ্গে বান্দরবানের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থাও বিচ্ছিন্ন রয়েছে। দু’দিন ঐ সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে পানির উপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে কিছু কিছু যানবাহন চলাচলের খবর পেয়েছি। রিক্সা-ভ্যানে করে প্লাবিত সড়ক পার হয়ে ভেঙে ভেঙে যাতায়াত করছেন যাত্রীরা।
এদিকে গত শনিবার থেকে বান্দরবানের সাতটি উপজেলায় অবিরাম ভারি বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে। ভারি বর্ষণের পাহাড় ধসের শঙ্কা বাড়ছে বান্দরবানে। বুধবার সকালে সদরের লেম্বুছড়ি এলাকায় পাহাড় ধসে ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে কোনো প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। পাহাড় ধসের ঝুঁকিতে বসবাসকারীদের আশ্রয়কেন্দ্রে অথবা নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হয়েছে বুধবারও।
জেলা প্রশাসক মো. দাউদুল ইসলাম বলেন, দুর্যোগ মোকাবেলায় জেলায় খোলা ১২৬টি আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় ৭০০ দুর্গত মানুষ অবস্থান করছে। আশ্রয়কেন্দ্রে ত্রাণ তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। পাহাড় ধসের ঝুঁকিতে বসবাসকারীদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে মাইকিং করা হচ্ছে নিয়মিত।
দুর্যোগ মোকাবেলায় সবধরণের প্রস্তুতি রয়েছে প্রশাসনের বলে জানিয়েছেন তিনি।