অবিরাম মাঝারি ও ভারি বর্ষণে হাটহাজারীতে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (১০ জুলাই) দিবাগত রাতে হাটহাজারী উপজেলার ১নং ফরহাদাবাদ ইউনিয়নের উদালিয়া গ্রামের মনাই ত্রিপুরাপল্লীতে এ ঘটনা ঘটে।
তবে স্থানীয় প্রশাসন পল্লীতে ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ে বসবাসরত ১৫টি পরিবারকে আগাম সরিয়ে নেওয়ার কারণে বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটেনি। এ ঘটনায় তেমন হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও দুইটি বসতঘর ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এছাড়া বর্ষণ অব্যাহত থাকায় হাটহাজারী পৌরসভা ও উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ফলে এলাকাগুলোর সাধারণ জনগণের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে।
জানা গেছে, গত কয়েকদিন অবিরাম মাঝারি ও ভারি বর্ষণ অব্যাহত থাকায় হাটহাজারী পৌরসভার মোহাম্মদপুর, মিরের খিল এবং উপজেলার বুড়িশ্চর, শিকারপুর, গড়ুয়ারা, মেখল, ছিপাতলী, গুমানমর্দ্দন, নাঙ্গলমোড়া, উত্তর ও দক্ষিণ মার্দাশা ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
এদিকে নাজিরহাট বাজারের হালদা নদীর উপর নির্মিত সেতুর মাঝখান দেবে গেছে। তবুও ঝুঁকি নিয়ে শত শত মানুষ এ সেতু দিয়ে পারাপার করছে। তবে যেকোন মুহূর্তে সেতুটি বিলিন হয়ে যেতে পারে। তাছাড়া চট্টগ্রাম-রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি মহাসড়কের বেশ কয়েকটি স্থানে পানি জমে যান চলাচল ব্যাহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
ভারি বর্ষণে ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড় থেকে লোকজনদের বসতি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে প্রশাসন, পৌরসভার এবং ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে।
অন্যদিকে ফরহাদাবাদ ইউনিয়নের মনাই ত্রিপুরাপল্লীতে ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ে বসবাসরত ১৫টি পরিবারের অর্ধশতাধিক সদস্যকে আগাম নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে আনা হয়েছে। বর্তমানে এসব পরিবারের সদস্যগুলো স্থানীয় একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আশ্রয় নিয়েছে।
উপজেলার নিবাহী অফিসার (ইউএনও) রুহুল আমিন জানান, মনাই ত্রিপুরাপল্লীতে ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ে বসবাসরত ১৫টি পরিবারকে সময়মতো সরিয়ে নেওয়ার কারণে পাহাড় ধসের মতো ঘটনা ঘটলেও বড় ধরণের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তবে দুইটি বসতঘর ক্ষতিগ্রস্ত হলেও সবাই নিরাপদে আছে। তাছাড়া আশ্রয়কেন্দ্রের ১৫টি পরিবারের জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুইবেলা খাবারের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
পৌর এলাকা ও উপজেলার ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্নস্থান আমরা পরিদর্শন করেছি এবং উপজেলাবাসীর সার্বক্ষণিক খোঁজখবর নিচ্ছি বলে জানান তিনি।