গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি মারা গিয়েছিলেন ভারতীয় সুপারস্টার শ্রীদেবী। দুবাইয়ে এক আত্মীয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন তিনি। বিয়ে শেষে স্বামী বনি কাপুর ও মেয়ে খুশি কাপুর দেশে ফিরলেও, দুবাইয়ের বিলাসবহুল একটা হোটেলে থেকে যান শ্রীদেবী। সেই হোটেলের একটি কক্ষের বাথরুমের বাথটাবে মিলেছিল তাঁর মৃতদেহ।
শ্রীদেবীর মৃত্যু নিয়ে রহস্য ছিল শুরু থেকেই। প্রাথমিক রিপোর্টে এটাকে আকস্মিক মৃত্যু বলা হলেও অনেকেই দাবি করেছিলেন, ঠাণ্ডা মাথায় ছক কষে খুন করা হয়েছিল এই অভিনেত্রীকে। এই ঘটনার সঙ্গে তাঁর স্বামী বনি কাপুর জড়িত থাকতে পারেন বলে একটা সন্দেহও তৈরি হয়েছিল।
তারপর থেকেই শ্রীদেবীর মৃত্যু ঘিরে তৈরি হয় ধোঁয়াশা। কিন্তু সে সময় দুবাই পুলিশ তদন্ত করেও কোনো গলদ না পেলে মামলা শেষ করে দেওয়া হয়। এমনকি গত বছরের মে মাসে ভারতের শীর্ষ আদালতেও খারিজ করে দেওয়া হয় এই মামলা। কিন্তু আবার শ্রীদেবীর মৃত্যু নিয়ে সামনে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য।
সম্প্রতি কেরলের জেলের ডিজিপি ঋষিরাজ সিং সামনে এনেছেন সেই তথ্য। তিনি জানান, তাঁর বন্ধু ড. উমাদাথন অভিজ্ঞ এক ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ। তাঁর কাছে কৌতূহলবশত শ্রীদেবীর মৃত্যুর কারণ জানতে চাইলে উমাদাথন বলেন, ‘আমার ধারণা, শ্রীদেবীর মৃত্যু স্বাভাবিক নয়। আবার অ্যাক্সিডেন্টাল ডেথও নয় এটা। তাঁকে খুন করা হয়েছে।’
এই ফরেনসিক বিশেষজ্ঞের মতে, শ্রীদেবীর মৃত্যু যেভাবে হয়েছিল, কোনো মানুষ সেভাবে এক ফুট পানিতে ডুবে মারা যেতে পারে না। তাঁর দাবি, কেউ মাথা বা পা টেনে ধরে ডুবিয়ে না দিলে এক ফুট পানিতে ডুবে মারা যেতেন না শ্রীদেবী।
জয়নিউজ/আরসি