শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সড়কটি যান ও জনগণের চলাচল প্রতিবন্ধকতামুক্ত রাখতে আহ্বান জানিয়েছেন নাগরিক উদ্যোগের প্রধান উপদেষ্টা ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি খোরশেদ আলম সুজন।
শুক্রবার ( ১২ জুলাই) বিকাল সাড়ে পাঁচটায় নগরের জামালখানের একটি বেসরকারি সংস্থার কার্যালয়ে নাগরিক উদ্যোগের এক জরুরি সভায় এ আহ্বান জানান তিনি।
এসময় তিনি বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে পর্যবেক্ষণ করছি শাহ আমানত আন্তর্জাতিক সড়কটি যান ও জনগণের চলাচলের অনুপযোগী হয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি কয়েকদিনের বৃষ্টিতে সে অবস্থা আরো মারাত্মক হয়ে উঠেছে যা নিঃসন্দেহে উদ্বেগজনক।
একদিকে নগরীর ভাঙা রাস্তা অন্যদিকে বৃষ্টির কারণে বিমানবন্দর সড়কটি বাকী শহর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা গাড়িতে অবস্থান করেও কর্মজীবী নারী-পুরুষ তাদের কর্মস্থলে সময়মতো পৌঁছাতে পারছে না।
আমরা চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে আহ্বান জানিয়ে বলেন, বিমানবন্দর সড়কটিকে বাঁচাতে হলে একটি সুষ্ঠু স্থায়ী কর্মপরিকল্পনা গ্রহণের কোনো বিকল্প নেই।
সুজন আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামের উন্নয়নের প্রতি আন্তরিক বিধায় একের পর এক মেগা প্রকল্পের অনুমোদন এবং বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সংখ্যক অর্থও বরাদ্দ দিয়েছে। যা এ যাবতকালে অন্যান্য সরকারের তুলনায় সর্বোচ্চ বরাদ্দও বটে। তারপরও নগরবাসীকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে যা সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক।
তবে বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) সিমেন্ট ক্রসিং এলাকায় পানি প্রবাহে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারী রুবি সিমেন্টের সীমানা দেওয়াল ভেঙে দেওয়ার মতো সাহসী পদক্ষেপ গ্রহণ করায় সিটি করপোরেশন, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এবং সেনাবাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
তিনি আরো বলেন, চট্টগ্রামকে জলাবদ্ধতার অভিশাপ থেকে মুক্তি দিতে এভাবেই জলাবদ্ধতায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারী প্রতিষ্ঠান এবং ব্যক্তির বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করতে হবে।
নাগরিক উদ্যোগের উপদেষ্টা হাজী মো. ইলিয়াছের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আব্দুর রহমান মিয়া, সাইদুর রহমান চৌধুরী, সংগঠনের সদস্য সচিব হাজী মো. হোসেন, মো. নিজাম উদ্দিন, মোরশেদ আলম, ছালেহ আহমদ জঙ্গী, অধ্যক্ষ কামরুল হোসেন, হাফেজ মো. ওকার উদ্দিন, মো. শাহজাহান, শেখ মামুনুর রশীদ, জাহাঙ্গীর আলম, সোলেমান সুমন, সমীর মহাজন লিটন, স্বরূপ দত্ত রাজু, এম ইমরান আহমেদ ইমু, মো. ওয়াসিম, মো. মাহফুজ ও মনিরুল হক মুন্না।