স্বৈরশাসকের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে আন্দোলন করা আবৃত্তি সংগঠন বোধন আবৃত্তি স্কুলের দ্বিপঞ্চাশত্তম আবর্তন (৫২) নবীনবরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (১২ জুলাই) সিটি করপোরেশন মিউনিসিপাল স্কুল এন্ড কলেজের অডিটোরিয়ামে এ নবীনবরণ অনুষ্ঠিত হয়।
বোধন আবৃত্তি পরিষদের আহ্বায়ক আব্দুল হালিম দোভাষের সভাপতিত্বে বোধন আবৃত্তি স্কুলের দ্বিপঞ্চাশত্তম নবীনবরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী। সম্মানিত অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা অধ্যাপক সুমন বড়ুয়া, জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক নাট্যজন সাইফুল আলম বাবু, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সাহিদুল কবির চোধুরী।
অনুষ্ঠানের শুরুতে সংগঠনের পথ চলার তেত্রিশ বছরের ইতিহাস এবং বোধন আবৃত্তি স্কুলের প্রয়াত অধ্যক্ষ মৃণাল সরকার, অধ্যক্ষ রণজিৎ রক্ষিত, অধ্যক্ষ পঞ্চানন চৌধুরীর সংগঠনের অবদান তুলে ধরা হয় ও তাদের প্রতি শ্রদ্ধানিবেদন করা হয়।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন বোধনের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আবৃত্তিশিল্পী প্রণব চৌধুরী। তিনি বলেন, রণজিৎ রক্ষিত ছিলেন বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গণের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র আমরা সেই নক্ষত্রের আলোয় আলোকিত হয়ে এখনো আবৃত্তি শিল্পকে প্রসারে কাজ করে যাচ্ছি। তিনি বোধন আবৃত্তি পরিষদের পক্ষ থেকে রণজিৎ রক্ষিতের শিক্ষক জীবনের কর্মক্ষেত্র চসিক মিউনিসিপাল মডেল স্কুল এন্ড কলেজের মিলনায়তনটিকে আবৃত্তি শিল্পী রণজিৎ রক্ষিতের নামে নামাংকিত করার প্রস্তাব করেন।
জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম বাবু বলেন, মৃণাল সরকার, রনজিৎ রক্ষিত, পঞ্চানন চৌধুরী প্রত্যেকেই ছিলেন বোধনের পথচলার অন্যতম সঙ্গী। তাঁরা আজ আমাদের মাঝে নেই। আমি শ্রদ্ধাভরে তাদের আত্মা ও কর্মযজ্ঞের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই।
অনুষ্ঠানের সভাপতির বক্তব্যে আব্দুল হালিম দোভাষ বলেন, বোধন আবৃত্তি স্কুল বাংলাদেশের আবৃত্তি চর্চায় একটি যুগান্তকারী মাইলফলক হিসেবে থাকবে।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন শিমলা চক্রবর্তী, ঝলক কুমার শীল, সাগর চন্দ্র নাথ, সেতারা রুদ্র। আবৃত্তি পরিবেশন করেন দেবান্তিকা দে মুক্তি, ওসমান পারভেজ সোহাগ, জারিন সুভা, প্রনিতা দেব চৈতি, হিমানি মজুমদার, দারুল মোকাম পুষ্পা ও দেবদ্রুতি চৌধুরী।
বোধনের শিশুশিল্পীরা বৃন্দ পরিবেশনা করেন ‘বঙ্গবন্ধু অতঃপর বাংলাদেশ’ গ্রন্থনা ও নির্দেশনায় ছিলেন যশস্বী বনিক ও ইতু সাহা।