টানা বৃষ্টিতে দক্ষিণ চট্টগ্রামের চন্দনাইশের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। হাজার হাজার পরিবার পানিবন্দি অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে। হাজার হাজার একর ফসলি জমি ও মৎস্য খামার পাহাড়ি ঢলের পানিতে তলিয়ে গেছে।
এদিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চন্দনাইশের পাঠানিপুল এলাকায় পাহাড়ি ঢলের পানি মহাসড়কের উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে যেকোনো মুহূর্তে চট্টগ্রামের সঙ্গে কক্সবাজার ও বান্দরবানের সরাসরি সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
অপরদিকে সাঙ্গু নদীর পানি বিপদসীমার ৩-৪ ফুট উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত ১২ জুলাই ভোর থেকে নদীতে পাহাড়ি ঢলের পানি বৃদ্ধি পেয়ে নদীর দু’কুল ভাসিয়ে বারুদখানা, চাগাচর, কিল্লাপাড়া, পূর্ব দোহাজারী, জামিজুরী, বৈলতলী, বরমা, বরকল, সাতকানিয়া থানার খাগরিয়া, কাটগড়, মৈশামুড়া, কালিয়াইশ, নলুয়া, মরফলা, ধর্মপুর, বাজালিয়ার হাজার হাজার বসতঘরে পানি ঢুকে পড়ে।
শঙ্খ চরের হাজার হাজার একর সবজি ক্ষেত পাহাড়ি ঢলের পানিতে তলিয়ে গেছে। চরের সবজি চাষি আবুল কালাম জয়নিউজকে জানান, তার বেগুন, মরিচ ও ঢেড়শ ক্ষেত তলিয়ে গেছে। শুধু আবুল কালাম নয়, হাজার হাজার কৃষক ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। বারুদখানা এলাকার ছাবের আহমদ জয়নিউজকে বলেন, বাড়িতে বন্যার পানি ঢোকায় রান্নার হাড়ি জ্বলেনি, পরিবার-পরিজন নিয়ে খুব কষ্টে আছি।
চন্দনাইশ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আ ন ম বদরুদ্দোজা জয়নিউজকে বলেন, চন্দনাইশে দুই পৌরসভাসহ কয়েকটি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো জন্য উপজেলার সাইক্লোন শেল্টারগুলো খুলে দেওয়া হয়েছে। সরকারিভাবে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ চলছে। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার চেয়ারম্যান ও মেম্বারদেরকে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ে অবস্থানরত পরিবারগুলোকে মাইকিং করে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে বলা হয়েছে।