টানা বর্ষণে দেশের সবচেয়ে বড় ভোগ্যপণ্যের পাইকারি বাজার চাক্তাই-খাতুনগঞ্জে লেনেদেনে পড়েছে ভাটা। ভারি বৃষ্টিপাতে ভোগ্যপণ্যের তেমন ক্ষতি হয়নি। তবে চলতি মৌসুমে অতিবৃষ্টির কারণে চাক্তাই খাল ও কর্ণফুলী নদীতে পানিপ্রবাহ বেড়ে যাওয়ায় জোয়ারে পুরো বাজার প্লাবিত হওয়ার আতঙ্কে আছেন ব্যবসায়ীরা।
ব্যবসায়ীরা জানান, একটু একটু করে চাক্তাই খাল ভরাটের কারণে যে খাল একসময় বাণিজ্যের লাইফলাইন ছিল, তা আজ পরিণত হয়েছে ব্যবসায়ীদের মরণফাঁদে। গত ৪ থেকে ৫ বছর ধরে জোয়ারের পানি উঠলে আর নামছে না। আবর্জনায় খালের তলদেশ প্রায় ১০ ফুটের মত ভরাট হয়ে গেছে। এতে জোয়ারের পানি খাল উপচে বাজারে প্রবেশ করে। ফলে প্রতিদিন ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা পুরো বাজার থাকে পানিবন্দি।
শুরুর দিকে দোকানের সামনে উঁচু দেওয়াল দিয়ে দোকানে পানি ঢোকা ঠেকানো গেলেও, এখন তা আর সম্ভব হচ্ছে না। প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে জোয়ারের পানির কারণে ব্যবসায়ীদের ক্ষতি হচ্ছে শত শত কোটি টাকা। সমস্যা সমাধানে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসায়ীরা দাবি জানিয়ে আসলেও চোখে পড়ার মতো কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ তাদের।
গত বছর বর্ষা মৌসুমে কর্ণফুলীর জোয়ারের পানিতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ বাজার। প্রায় প্রতিদিনই জোয়ারের পানিতে ডুবে থাকত শত শত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। কোথাও হাঁটুপানি আবার কোথাও বা কোমর সমান পানিতে অনেক মালপত্র নষ্ট হয়ে যায়। ফের আগামী এক সপ্তাহ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে জোয়ারের পানিতে বাজার প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা। আর এ বছর বাজারে জোয়ারের পানি প্রবেশ করলে ক্ষতির সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে বলে মনে করছেন তারা।
এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ আড়তদার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি সোলায়মান বাদশা জয়নিউজকে বলেন, গত এক সপ্তাহে বাজারে প্রায় হাজার কোটি টাকার মতো লেনদেন কম হয়েছে। তবে আমরা আতঙ্কে আছি আসছে জোয়ার নিয়ে। আগামী এক সপ্তাহ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে জোয়ারে প্লাবিত হতে পারে বাজার। এতে শত শত কোটি টাকার লোকসান হবে প্রতিদিন।
এক প্রশ্নের জাবাবে তিনি বলেন, এ সমস্যা সমাধানে চোখে পড়ার মতো কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এ বাজার ক্ষতিগ্রস্ত হলে জাতীয় অর্থনীতিও ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
জয়নিউজ/আরসি