বর্তমান সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে চট্টগ্রামবাসীর পানির চাহিদা মেটাতে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে বৃহৎ কয়েকটি প্রকল্প। তারই ধারাবাহিকতায় আজ সোমবার (১৫ জুলাই) আরেকটি নির্মাণ প্রকল্পের চুক্তি স্বাক্ষর করল চট্টগ্রাম ওয়াসা।
দক্ষিণ কোরিয়ান এক্সিম ব্যাংক ও বাংলাদেশ সরকার যৌথ অর্থায়নে প্রকল্পটির বাস্তবায়ন করবে। ভান্ডালজুড়ি প্রকল্পটি সম্পন্ন হলে দৈনিক ৬ কোটি লিটার পানি সরবরাহ করা সম্ভব হবে। যার সুফল পাবে দক্ষিণ চট্টগ্রামের জনগণ। দুই হাজার একশত ছাব্বিশ কোটি নয় লাখ বার হাজার টাকা ব্যয়ে ওয়াসার নতুন ভান্ডালজুরি প্রকল্পটি নির্মাণ করা হবে।
এর মধ্যে এক হাজার একশত পঁচানব্বই কোটি চব্বিশ লাখ চুয়াল্লিশ হাজার নয়শত টাকার কাজ সম্পন্ন করার লক্ষ্যে চট্টগ্রাম ওয়াসা কোরিয়ার তাইইয়ং ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড কনস্ট্রাকশনস লিমিটেড কোম্পানীর সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে।
নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী এ কে এম ফজলুল্লাহ ও কোরিয়ান কোম্পানীর পক্ষে প্রকল্প পরিচালক মি. লিং। প্রকল্পটির নির্মাণকাজের সময়সীমা ৩ বছর।
প্রকল্পের আওতায় ৬ কোটি লিটার উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন পানি শোধনাগার স্থাপন করা হবে। ১৩৩.৩০ কিলোসিটার দৈর্ঘে্যর ট্রান্সমিশন ও ডিস্ট্রিবিউশন পাইপ লাইন নির্মাণ করা হবে। দুই স্থানে ১০০০০ কিউবিক মিটার ও ৩০০০ কিউবিক মিটার ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন জলাধার নির্মাণ ছাড়াও টানেলের মাধ্যমে ৪৩৮ মিটার দৈর্ঘ্যের রিভার ক্রসিং কাজ সম্পন্ন করা হবে।
জানা যায়, প্রকল্পটি সম্পন্ন হলে দক্ষিণ চট্টগ্রামের পটিয়া, আনোয়ারা, কর্ণফুলী ও বোয়ালখালী উপজেলায় পানি সরবরাহ করবে ওয়াসা। প্রকল্পের উৎপাদিত পানির ৭৫ ভাগ সরবরাহ হবে শিল্পাঞ্চলে, অবশিষ্ট ২৫ ভাগ বরাদ্দ হবে আবাসিক গ্রাহকদের।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী এ কে এম ফজলুল্লাহ, উপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক (প্রশাসন) গোলাম হোমেন. ওয়াসা বোর্ড সদস্য কাজী মহসিন, কাউন্সিলর আবিদা আজাদ এবং প্রকৌশলী জাফর আহমদ সাদিক, কোরিয়ার তাইইয়ং ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেডের প্রকল্প পরিচালক মি. লিং এবং টিম লিডার পার্ক যে ইয়াং।