পাহাড়ধসে বান্দরবানে রুমা-থানচি উপজেলাসহ অভ্যন্তরীন সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। অবিরাম ভারি বর্ষণে অভ্যন্তরীন সড়কগুলোর কোথাও কোথাও সড়কের চিহ্নও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা।
সম্পূর্ণ ধসে পড়েছে পাহাড়ি ঢলে। অনেকস্থানে পাহাড় ধসে সড়কের মধ্যখানে তৈরি হয়েছে মাটির বিশাল স্তুপ।
সোমবার (১৫ জুলাই) সড়কগুলো ঘুরে দেখা গেছে ভয়াবহ এ চিত্র।
জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয়রা জানায়, কয়েকদিনের অবিরাম ভারি বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে বান্দরবানের রুমা, থানচি, রোয়াংছড়ি, লামা-সূয়ালক, থানচি-আলীকদম, বান্দরবান-রাঙামাটি, রুমা-বগালেক, ক্যাওক্রাডং, ডিমপাহাড়-তীন্দু সড়কসহ অভ্যন্তরীন সবগুলো রুটে ব্যাপকভাবে পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটেছে।
তবে পাহাড়ধসে সম্পূর্ণ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে রুমা এবং থানচি উপজেলা। দুটি সড়কের অধিকাংশ স্থানে পাহাড়ধসের কারণে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এছাড়াও অভ্যন্তরীন অন্য সড়কগুলোতে যাত্রীবাহি বাস চলাচল বন্ধ থাকলেও হালকা যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
পরিবহন শ্রমিক আমির হোসেন বলেন, পাহাড়ধসের কারণে রুমা-থানচি সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। দুটি সড়কে ব্যাপকভাবে পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটেছে। তবে রুমা সড়কটি সম্পূর্ণ বিধস্ত হয়ে গেছে। কয়েকটি স্থানে সড়কটি পাহাড়ি ঢলে ধসে যাওয়ার সড়কের চিহ্ন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা।
রুমা উপজেলা চেয়ারম্যান উহলাচিং মারমা জয়নিউজকে বলেন, বন্যা-পাহাড়ি ঢলে রুমায় সবগুলো রুটের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বান্দরবান-রুমা সড়কটি অধিকাংশ স্থানেই পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটেছে। কিছুকিছু স্থানে সড়কটি সম্পূর্ণই ধসে গেছে পাহাড়ি ঢলে। পার্শ্ববর্তী পাহাড় কেটে নতুনভাবে সড়কটি তৈরি করতে হবে। এছাড়াও রুমা-বগালেক-ক্যাওক্রাডং সড়ক যোগাযোগও বিচ্ছিন্ন রয়েছে কয়েকদিন ধরে। রুমা-বান্দরবান সড়ক যোগাযোগ চালু হতে আরো সময় লাগবে। তবে সড়কটি দ্রুত মেরামত করে চালু করার ব্যাপারে সেনাবাহিনীর সঙ্গে আলোচনা করা হবে।