চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সমাজবিজ্ঞান অনুষদের একটি কক্ষ থেকে ছাত্র সেজে মোবাইল ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। ভুক্তভোগী ছাত্রী জুহি মাহমুদ সমাজতত্ত্ব বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী।
এ ঘটনায় অভিযোগ জানাতে বেশ কয়েকবার বিভাগীয় সভাপতি ও অনুষদের ডিন অফিসে গেলেও তাদের পাননি বলে জানিয়েছেন ওই ছাত্রী। ক্ষুব্ধ হয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন তিনি।
জুহি জয়নিজকে বলেন, আমি সকাল সাড়ে আটটার দিকে ক্লাসে যাই। আমার পিছে পিছে এক অপরিচিত ছেলেও ক্লাসরুমে প্রবেশ করে ছেলেদের বেঞ্চে গিয়ে বসে। তার হাতে খাতা ছিল। আর তাকে দেখে বড় মনে হয়েছিল। ফার্স্ট ইয়ারের মনে হয়নি। আগে কোনোদিন দেখিনি। প্রথমে সিনিয়র মনে করেছিলাম।
কিছুক্ষণ পর সে আমার সামনের সিটে এসে বসে এবং আমার সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করে। ক্লাস কখন শুরু হবে সেটাও আমাকে জানায়। তখন আমাদের ক্লাসের অনিয়মিত ছাত্র মনে করি।
কিন্তু আমি এড়িয়ে যাই। পরে সে আমাকে বলে, আপনার ফোন থেকে কি কল করা যাবে? আমি ভাবলাম হয়তো তার মোবাইলে ব্যালেন্স নাই তাই আমি তার হয়ে আমার ফোন থেকে ডায়াল করলাম। সে ‘মনু ভাই’ নামক কোনো এক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলেছে। ‘ভাই ভালো আছেন? কী করতেছেন?’ এটা বলার সঙ্গে সঙ্গে সে ক্লাস থেকে দৌঁড়ে পালাল!
তিনি বলেন, আমি ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে তার পিছনে দৌঁড়ালাম। এসময় চোর বলে চিৎকার করলেও কেউ আমাকে সাহায্য করেনি। ওখানে এক সিনিয়র ভাই দাঁড়িয়ে ছিলেন তাও কিছু করলেন না। উল্টো আমার দিক ঢেকে থাকল। পরে আমি ডিন অফিসে গেলাম। উনি মাস্টার্সের ক্লাস নিচ্ছিলেন। বিভাগীয় সভাপতির কক্ষে গেলে অফিসের স্টাফ আমাকে বলে তিনি ব্যস্ত আছেন। এই নিয়ে পাঁচবার গিয়েছি কিন্তু কোনো পাত্তা নেই।
সমাজতত্ত্ব বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক লিয়াকত আলীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও মুঠোফোনে তাকে পাওয়া যায়নি।
তবে সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. ফরিদ উদ্দিন আহামেদ জয়নিউজকে বলেন, এরকম কোনো অভিযোগ আমি শুনিনি। যদি ঘটেই থাকে, ডিন অফিসে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে অপরাধী সনাক্ত করা যাবে৷
উল্লেখ, এর আগেও বেশ কয়েকবার ওই অনুষদ থেকে শিক্ষার্থী সেজে মোবাইল ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়াও অন্যান্য অনুষদের প্রায়ই এমন ঘটনা ঘটতে দেখা যায় বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।