জিভে জল আসে কিসে? চোখ বুজে আসে সেই নামটাই, আরে সেতো ফুচকাই!
ফুচকা পছন্দ করে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া ভার। বর্তমানে রেস্টুরেন্ট থেকে শুরু করে স্কুল-কলেজের সামনে, বিনোদনকেন্দ্র সর্বত্রই পাওয়া যায় ফুচকা।
কিন্তু এই ফুচকা কতটা স্বাস্থ্যকর? বাইরে তৈরি ফুচকা খেয়ে বুক জ্বালাপোড়া, পেট ব্যথা ও বদহজম হওয়ার অভিযোগের সংখ্যা কম নয়। কিন্তু তাতে ফুচকার লোভ কি সামলানো যায়?
তাই এবার ঘরে বসেই চটজলদি বানিয়ে ফেলুন স্বাস্থ্যকর ফুচকা।
প্রয়োজনীয় উপকরণ
সুজি দেড় কাপ, ময়দা দেড় কাপ, তালমাখনা এক চা চামচ, লবণ পরিমাণমতো, ডুবো তেলে ভাজার জন্য পর্যাপ্ত তেল।
ফুচকার ভেতরের উপকরণ
মটর ২০০ গ্রাম, আলু বড় আকারের ২-৩টি, কাঁচা মরিচ কুঁচি, পেঁয়াজ কুঁচি, ধনে পাতা কুঁচি, ভাজা জিরার গুঁড়া ১ টেবিল চামচ, লবণ ১-২ চা চামচ, বিট লবণ ১-৪ চা চামচ।
তেঁতুলের টক তৈরি
তেঁতুল ৫০ গ্রাম, ভাজা জিরার গুঁড়া ১ চা চামচ, শুকনা মরিচ, লবণ ১ চা চামচ, বিট লবণ ১-৪ চা চামচ, চিনি পরিমাণমত।
প্রস্তুত প্রণালী
তালমাখনা এবং লবণ ১০-১৫ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। এরপর সুজি, ময়দা ও তালমাখনা ভাল করে মেশান। তারপর কুসুম গরম পানি দিয়ে মেখে শক্ত ডো তৈরি করুন। এই ডো টি আধঘন্টা ঢেকে রেখে দিন।
মটরশুঁটিগুলো ৪-৫ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখতে হবে। আলু ও মটর একসাথে সেদ্ধ করে নিন। এরপর আলু ভর্তা করে তারমধ্যে মটর, ভাজা জিরা, কাঁচা মরিচ, লবণ, পেঁয়াজ, ধনে পাতা কুচি ও বিট লবণ দিয়ে মিশিয়ে রাখুন।
তেঁতুল এক কাপ পানিতে আধা ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন। শুকনা মরিচ গুঁড়া করে নিন। তারপর তাতে সসের সব উপকরণ ভালভাবে মেশান।
এবার মেখে রাখা ডো থেকে ৬টা বল করে নিন। এক একটি বল থেকে রুটি বেলে দেড় ইঞ্চি ব্যাসের কুকি কাটার বা গোল ঢাকনা নিয়ে ছোট ছোট আকারে কেটে নিন। এভাবে সব গুলি রুটি থেকে কেটে নিন।
কড়াইয়ে তেল ভালভাবে গরম হলে ছোট রুটি বা ফুচকাগুলো ছেড়ে দিন। বাদামি করে ভেজে তুলুন। খেয়াল রাখতে হবে যেন বেশি পুড়ে না যায়। সব ভাজা হয়ে গেলে ফুচকাগুলোর একপাশে অল্প একটু ভেঙে তাতে আগে মেখে রাখা আলু মটরের ভর্তাটা ঢুকিয়ে দিতে হবে। এরপর উপরে ছড়িয়ে দিন শসা, গাজর ও টমেটো কুচি। তারওপর সেদ্ধ ডিমটি পেঁয়াজ কাটারে ঘষে দিন। সবশেষে ছোট বাটিতে তেঁতুলের সস দিয়ে পরিবেশন করুন।
জয়নিউজ/এডি/জেডএইচ