সাবেক রাষ্ট্রপতি, জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান ও একাদশ সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা এইচ এম এরশাদের মরদেহ মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সকালে হেলিকপ্টারযোগে নিজ এলাকা রংপুরে নেওয়া হয়েছে। বাদ জোহর রংপুর কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠে তাঁর চতুর্থ নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর ঢাকায় এনে বিকালে বনানী সামরিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করার কথা রয়েছে। তবে জানাজা শেষে রংপুরেই তাঁকে দাফনের দাবি জানিয়েছেন জাপার স্থানীয় নেতাকর্মীরা।
রোববার (১৪ জুলাই) সকালে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) এরশাদ মৃত্যুবরণ করার পর তাঁর স্ত্রী ও সংসদের বিরোধীদলীয় উপনেতা রওশন এরশাদ সাংবাদিকদের জানান, মৃত্যুর আগে বনানী সামরিক কবরস্থানে দাফনের জন্য বলে গেছেন এরশাদ। সামরিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হবে বলে এরশাদের প্রেস উইং থেকেও সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হয়। রোববার ঢাকা সেনানিবাসে সেনা কেন্দ্রীয় মসজিদে এরশাদের প্রথম জানাজা শেষে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এর পক্ষ থেকেও বলা হয়েছে, ‘রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে তাঁর দাফন সম্পন্ন করা হবে’।
এদিকে, রংপুরে এরশাদকে দাফনের প্রস্তুতি হিসেবে সোমবার (১৫ জুলাই) দুপুরে রংপুর সেন্ট্রাল রোডে দলের স্থানীয় কার্যালয়ে জাপার রংপুর ও রাজশাহী বিভাগীয় কমিটি যৌথসভা করে। সভা শেষে জাপা নেতা ও রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা বলেছেন, রংপুর থেকে এরশাদের মরদেহ ঢাকায় নিতে দেওয়া হবে না।
জানা গেছে, স্থানীয় নেতাকর্মীরা এরশাদকে দাফনের জন্য কবরের জায়গা নির্দিষ্ট করে কবরও খুঁড়ে ফেলেছেন।
জয়নিউজ/আরসি