জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মরদেহ নিয়ে রংপুরের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন তাঁর ভাই জি এম কাদের।
তিনি বলেছেন, রংপুরে জানাজার পর ঢাকার বনানীতে সেনা কবরস্থানেই দাফন হবে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে।
জি এম কাদেরের সঙ্গে এরশাদের বড় ছেলে রাহগির আল মাহি সাদ এরশাদ, জাতীয় পার্টির মহাসচিব ও রংপুর-৩ (সদর) আসনের সাংসদ মসিউর রহমান রাঙ্গা ও সাবেক মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদারও রয়েছেন।
এদিকে এরশাদের নির্বাচনি এলাকা রংপুরের নেতাকর্মীরা তাঁকে সেখানেই দাফন করার দাবি জানিয়ে আসছেন। ইতোমধ্যে এরশাদের রংপুরের বাড়ি পল্লীনিবাসের লিচুবাগানে তারা কবরও খুঁড়ে ফেলেছেন।
বেলা দেড়টায় রংপুর শহরের কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠে হবে এরশাদের জানাজা। ইতোমধ্যে সেখানে কঠোর নিরাপত্তা বলয় তৈরি করেছে রংপুর জেলা পুলিশ। জানাজা শেষেই এরশাদের মরদেহ আবার ঢাকায় ফিরিয়ে এনে বনানীর সেনা কবরস্থানে দাফনের কথা রয়েছে।
কিন্তু রংপুরের মেয়র ও জাতীয় পার্টির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা ঘোষণা দিয়েছেন, তারা ‘যে কোনো মূল্যে’ এরশাদের মরদেহ রংপুরে রেখে দেবেন।
এরশাদ নিজেই পল্লীনিবাস প্রাঙ্গণে শায়িত হতে চেয়েছিলেন- এমন কথাও রংপুরের নেতাকর্মীদের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে।
কিন্তু এরশাদের কফিন নিয়ে রংপুরে রওনা দেওয়ার আগে জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেন, ‘উনার শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী বনানীতে সেনাবাহিনীর কবরস্থানেই তাঁকে সমাহিত করা হবে।’
জয়নিউজ/আরসি