হাটহাজারীর ছিপাতলীতে ছেলেধরা সন্দেহে গণধোলাইয়ের শিকার হয়েছে তিন ব্যক্তি। এসময় উত্তেজিত জনতা ওই তিন ব্যক্তির ব্যবহৃত একটি প্রাইভেট কারে আগুন দেয়।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সকালে এ ঘটনা ঘটে।
গণধোলাইয়ের শিকাররা হলেন, লোহাগাড়ার আদুনগর গ্রামের আব্দুল মালেকের বাড়ির মৃত রাজা মিয়ার ছেলে আব্দুল মালেক (৬০), একই গ্রামের সাহিপাড়া জুনু সিকদার বাড়ির মৃত আব্দুল হাইর ছেলে নুরুল ইসলাম (৬০) ও একই থানার পদুয়া মৌলভিপাড়ার লালুর বাপের বাড়ির মৃত মো. ইসমাইলের ছেলে চালক নুর কবির (২৮)।
প্রত্যক্ষদর্শী ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সকালে একটি প্রাইভেট কারে (ঢাকা মেট্রো গ-১৩-৮৬৪০) করে ওই তিনব্যক্তি উক্ত এলাকায় আসেন। অপরিচিত হওয়ায় তাদের দেখে স্থানীয় লোকজনের সন্দেহ হয়। এ সময় উৎসুক তাদের এলাকায় আসার কারণ জানতে চাইলে ওই তিন ব্যক্তি কেউ সদুত্তর দিতে পারেননি। পরে তারা কৌশলে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।
এতে করে স্থানীয় লোকজনের সন্দেহ আরও বাড়ে। একপর্যায়ে উপস্থিত উত্তেজিত জনতা ওই তিন ব্যক্তির ওপর চড়াও হয়ে গণধোলাই দেয়।
ঘটনার খবর পেয়ে ছিপাতলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আহসান লাভু ঘটনাস্থলে পৌঁছে থানা পুলিশকে বিষয়টি জানান।
পরে পুলিশ উত্তেজিত জনতার হাত থেকে সন্দেহভাজন তিন ব্যক্তিকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাটহাজারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে।
ঘটনার সত্যতা জানতে চাইলে হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বেলাল উদ্দীন জাহাঙ্গীর জয়নিউজকে বলেন, সকাল সাড়ে আটটার দিকে খবর পেয়ে আমাদের পুলিশ ফোর্স ছিপাতলী এলাকায় গিয়ে দেখে ছেলে ধরা সন্দেহে তিন ব্যক্তিকে জনতা গণধোলাই দিচ্ছে। এ সময় স্থানীয় উত্তেজিত জনতাদের শান্ত করে তিনজনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়।
তিনি আরও জানান, তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তিনজনকে থানায় আনা হয়েছে। বর্তমানে তারা পুলিশি হেফাজতে থানায় আছে। এছাড়া কেন তারা ওই এলাকায় গিয়েছিল বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং তাদের বিরুদ্ধে আইননানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।