আইন বলছে, নগরের সড়ক ও ফ্লাইওভারগুলো রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব সিটি করপোরেশনের। কিন্তু সেই আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে চউকের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুচ ছালামের স্বেচ্ছাচারিতায় ফ্লাইওভারগুলো চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনকে হস্তান্তর করা সম্ভব হয়নি।
তবে অবশেষে নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (চউক)। নগরের ফ্লাইওভারগুলো রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনকে (চসিক) হস্তান্তর করার উদ্যোগ নিয়েছে চউক।
ফ্লাইওভার হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শুরুর জন্য ইতোমধ্যে মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে চউক। চউকের চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ জয়নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নগরে চউক কর্তৃক নির্মিত ফ্লাইওভারগুলো হচ্ছে- মুরাদপুর থেকে লালখানবাজার পর্যন্ত আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভার, শুলকবহর থেকে বহদ্দারহাট এক কিলোমিটার এলাকা পর্যন্ত এমএ মান্নান ফ্লাইওভার, দেওয়ানহাট ফ্লাইওভার ও কদমতলী ফ্লাইওভার।
জহিরুল আলম দোভাষ জয়নিউজকে বলেন, ‘নিয়ম অনুযায়ী শহরের সড়কগুলো রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব চসিকের। কিন্তু ফ্লাইওভারগুলো এতদিন হস্তান্তর করা হয়নি। আর স্থাপনা রক্ষণাবেক্ষণের জন্য চউকের কোনো বরাদ্দ নেই। আমরা ফ্লাইওভারগুলো হস্তান্তরের জন্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছি।’
এর আগে রক্ষণাবেক্ষণের খরচ মেটাতে ফ্লাইওভারে দোকান নির্মাণ ও জায়গা ভাড়া দেওয়ার উদ্যোগ নেয় চউক। তবে চসিক, পুলিশসহ সেবাদানকারী সংস্থাগুলোর বিরোধিতায় সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে চউক। এ ছাড়া হাইকোর্ট দোকান নির্মাণ বন্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।