নগরপিতা আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, ব্যক্তি নয় দলীয় স্লোগানে মুখর করতে হবে রাজপথ। দলীয় নেতাকর্মীদের দুঃসময়ের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর যারা দলে সম্পৃক্ত হয়েছেন আপনারা দলের দুঃসময়ে ছিলেন না। আজকে দলের সুদিন রয়েছে, এই সুদিন নাও থাকতে পারে।
বুধবার (১৭ জুলাই) দুপুরে গণতন্ত্রবন্দি দিবস পালন উপলক্ষে নগরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ হিসেবে, জাতি হিসেবে আজ আন্তর্জাতিকভাবে সম্মান ও মর্যাদার আসনে বসিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স দেখিয়ে দেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে একটি সমৃদ্ধ রাষ্ট্রে পরিণত করতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। আমাদের সকলকে এ উন্নয়নের ধারার সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে হবে।
এসময় তিনি আরো বলেন, ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের অপশাসনের বিরুদ্ধে শত চাপ সত্ত্বেও শেখ হাসিনা জনগণের মুক্তির আন্দোলন চালিয়ে গেছেন। ২০০৭ সালে ১৬ জুলাই আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে কারাবন্দি করা হয়। ১১ মাস তিনি কারাবন্দি ছিলেন। কিন্তু আপামর জনগণের আন্দোলনের মুখে তিনি কারামুক্ত হয়ে দেশে পুনরায় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছেন।
মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহাতাব উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও প্রচার সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুখের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নঈম উদ্দিন চৌধুরী, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, অ্যাডভোকেট সুনীল সরকার, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ, আওয়ামী লীগ নেতা কাউন্সিলর মোহাম্মদ জাবেদ, জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী সিএনসি, ফরিদ আহমেদ চৌধুরী, মোসলেম উদ্দিন ও আবুল কাশেম।