হাটহাজারীতে চলতি বছরে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নেওয়া কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই শতভাগ পাশ দেখাতে পারেনি। তবে যদিও বিগত কয়েক বছরের চেয়ে এ বছর জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে। এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে মাত্র ৩৭ জন শিক্ষার্থী। তাছাড়া কমেছে পাসের হারও।
জানা গেছে, উপজেলার ১২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৫ হাজার ২শত ৪৬জন শিক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে পাস করে ৩ হাজার ২শত ১৫ জন। ফেল করেছে ২ হাজার ৩১ জন। ১২টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে একজনও জিপিএ-৫ পায়নি ৬টি প্রতিষ্ঠানে। অন্য ৬টি প্রতিষ্ঠানে কমপক্ষে ১ জন এবং অনূর্ধ্ব ১৬ জন পর্যন্ত জিপিএ-৫ পেয়েছে।
এ বছর সবচেয়ে বেশি রেকর্ড সংখ্যক হাটহাজারী সরকারি কলেজ থেকে মোট ১৬জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে।
শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, এবার ঈর্ষনীয় সাফল্য দেখিছে উত্তর চট্টগ্রামের হাটহাজারী সরকারি কলেজ। চলতি বছর উক্ত কলেজ থেকে এবার এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে মোট ১ হাজার ৩ শত ৬২ জন, পাস করেছে ১ হাজার ৩৩ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৬ জন। পাসের হার শতকরা ৭৫.৮৪ ভাগ।
উপজেলার আরেক বিদ্যাপীঠ নাজিরহাট কলেজ থেকে এবার পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে মোট ৮শত ৫৩ জন, পাস করেছে ৪ শত ৪১ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯ জন। পাসের হার শতকরা ৫২.৫২ ভাগ। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে এবার পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে মোট ৩ শত ৫০ জন, পাস করেছে ৩ শত ৫জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৮ জন। পাসের হার শতকরা ৮৫ ভাগ।
এছাড়া উপজেলার একমাত্র কাটিরহাট মহিলা কলেজ থেকে এবার পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে মোট ৪ শত ৬ জন, পাস করেছে ২ শত ৮২ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ জন। পাসের হার শতকরা ৬৯.৪৬ ভাগ। কুয়াইশ বুড়িশ্চর শেখ মোহাম্মদ সিটি করপোরেশন ডিগ্রী কলেজ থেকে এবার পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে মোট ১ হাজার ২০ জন, পাস করেছে ৬ শত ২৫ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ জন। পাসের হার শতকরা ৬১.২৭ ভাগ। কেসি শহীদ জিয়াউর রহমান কলেজ থেকে এবার পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে মোট ৩ শত ১৭ জন, পাস করেছে ১ শত ১৫১ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ জন। পাসের হার শতকরা ৪৭.৬৩ ভাগ।
ফতেয়াবাদ সিটি করপোরেশন ডিগ্রী কলেজ থেকে এবার পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে মোট ৭ শত ১১জন, পাস করেছে ২ শত ৬১জন, জিপিএ-৫ একজনও পায়নি। পাসের হার শতকরা ৩৬.৭১ ভাগ।
তাছাড়া হাটহাজারী গালস্ স্কুল এন্ড কলেজ থেকে এবার পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে মোট ৫১ জন, পাস করেছে ৩৯ জন, পাসের হার শতকরা ৭৬.৪৭ ভাগ।
জোবরা পিপি স্কুল এন্ড কলেজ থেকে এবার পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে মোট ৫৮ জন, পাস করেছে ৩২ জন, পাসের হার শতকরা ৫৫.০৭ ভাগ।
আলীপুর রহমানিয়া স্কুল এন্ড কলেজ থেকে এবার পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে মোট ২৭ জন, পাস করেছে শুধুমাত্র ৮ জন, পাসের হার শতকরা সবচেয়ে কম ২৯.৬৩৭ ভাগ।
ফজলুল কাদের স্কুল এন্ড কলেজ থেকে এবার পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে মোট ২৪ জন, পাস করেছে ১২ জন, পাসের হার শতকরা ৫০.৪৭ ভাগ এবং আকবরীয়া স্কুল এন্ড কলেজ থেকে এবার পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে মোট ৬৭ জন, পাস করেছে ২৬ জন, পাসের হার শতকরা ৩৯ ভাগ।
এদিকে ঈর্ষনীয় সাফল্যের ব্যাপারে হাটহাজারী সরকারি কলেজ অধ্যক্ষ মির কফিল উদ্দীনের কাছে তার প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি মুঠোফোনে জয়নিউজকে জানান, আমাদের কলেজের এ বছরের এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল শতকরা ৭৫ দশমিক ৮৪ ভাগ পাসের হার। যা কলেজের বিগত ফলাফলের চাইতে অনেক বেশি। এতে আমি খুব খুশি। আমার কলেজের এ সাফল্যের জন্য আমি হাটহাজারীর সাংসদ
ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এমপি, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও স্থানীয় প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান।