নগরের অলংকার মোড় থেকে একে খান গেটের সামনে নান্দনিক সৌন্দর্যের শেখ রাসেল চত্বর। বিভিন্ন রকমের ফুলগাছের সমারোহ এখানে। তবে এই সৌন্দর্য প্রকল্পের সামনের চত্বরটি এখনো দখলদারদের অভয়ারণ্য। এখানে কেউ খুলে বসেছে চায়ের স্টল, কেউবা পান-সিগারেটের দোকান। আবার রয়েছে বাসস্ট্যান্ড। এছাড়া ডাব, বিভিন্ন ফলমুল ও ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীদের যত্রতত্র অবস্থানে প্রকল্পের সৌন্দর্য ম্লান হয়ে পড়েছে।
সরজমিনে দেখা যায়, অলংকার মোড় থেকে একে খান মোড় পর্যন্ত সবুজের সমারোহ। বকুল, কুরচি, সোনালু রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া, কাঞ্চন, করবী, জারুল, কদম, পলাশসহ বিভিন্ন প্রজাতির ফুলের নান্দনিক সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয় সাধারণ মানুষ।
কিন্তু এ নান্দনিক সৌন্দর্য ম্লান করে দিচ্ছে অবৈধ স্থাপনা ও বাসস্ট্যান্ড। অলংকার মোড় থেকে সিটি গেট- দুইপাশে গড়ে ওঠেছে শত শত স্থাপনা। বিভিন্ন সময় সরকারি নির্দেশে উচ্ছেদ হলেও, ঘুরে-ফিরে আবার রাস্তার উপর দোকান ও বাসস্ট্যান্ডের আধিপত্য। আর যাত্রী সমাগম স্থানে রয়েছে অসংখ্য অবৈধ দোকানপাট ও স্থাপনা। এই স্থাপনার কারণে নানা বিড়ম্বনার শিকার হয় যাত্রীরা।
চসিক সূত্রে জানা যায়, কয়েক মাস আগে নগরপিতা আ জ ম নাছির উদ্দীন ফিতা কেটে এই প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। নগর আওয়ামী লীগ সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরীর প্রস্তাব অনুযায়ী এই প্রকল্পের নামকরণ হয় শেখ রাসেল চত্বর। চসিকের প্যানেল মেয়র প্রফেসর ড. নেছার উদ্দিন আহমদ মঞ্জুর সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ও অর্থায়নে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হয়। চসিকের সহযোগিতায় একে খান গ্রুপের অর্থায়নে ফোয়ারা করা হয়েছে। প্রকল্প বাস্তবায়নে জেএন করপোরেশন চসিক থেকে অনুমোদন নেয়।
প্যানেল মেয়র প্রফেসর ড. নেছার উদ্দিন আহমদ মঞ্জু জয়নিউজকে বলেন, অলংকার মোড় শেখ রাসেল চত্বরের সামনে এখনো অনেক অবৈধ স্থাপনা ও বাসস্ট্যান্ড রয়েছে। অনেকবার অবৈধ দোকানগুলো উচ্ছেদ করেছি।কিন্তু সকালে উচ্ছেদ করলে বিকালে আবার দখল হয়। অবৈধ বাসস্ট্যান্ডের কারণে সৌন্দর্য ম্লান হয়ে পড়ছে। পুলিশকে বারবার উচ্ছেদ করতে বললেও তারা নির্বিকার।
পুলিশ ও ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা দখলদারদের কাছ থেকে নিয়মিত চাঁদা আদায় করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
কয়েকজন বাসচালক জানায়, প্রতিদিন পুলিশ ও ক্ষমতাসীন দলের কয়েকজন নেতা চাঁদা আদায় করে। তাদেরকে মাসোহারা দিলে আমাদের বাস দাঁড় করানোর সুযোগ দেয় তারা।
জয়নিউজ/আরসি