নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বাঁশখালীর সমুদ্র উপকূলবর্তী ১০টি স্পট থেকে দুইদিনে শতাধিক ফিশিংবোট মাছ ধরার জন্য সাগরে রওনা দিয়েছে।
বোট মালিক সমিতি ও প্রভাবশালী জেলেরা প্রশাসনকে ম্যানেজ করে ফিশিং বোট সাগরে নামিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত সাগরে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও ৪/৫ দিন আগেই সাগরে ফিশিংবোট নিয়ে জেলেরা মাছ ধরার উদ্দেশে নেমে পড়ায় নানামুখী আলোচনা-সমালোচনা চলছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, বাঁশখালীর শেখেরখীল, ছনুয়া, গন্ডামারা, চাম্বল, বাহারছড়া, খানখানাবাদ ও সরল ইউনিয়নের ১০টি স্পটের ২২টি বরফ কলে প্রকাশ্যে বরফ বেচাকেনা চলছে।
ফিশিং বোটগুলোতে বরফ ও জাল উঠানো হচ্ছে। লাইসেন্স ও লাইসেন্স ছাড়া ১৬৮টি ফিশিংবোটের মধ্যে শতাধিক ফিশিংবোট উপকূল এলাকা ছেড়ে মাঝি-মাল্লা নিয়ে সাগরে রওনা হয়েছে।
ওইসব এলাকার ফিশিং বোটের মালিক সেকান্দর মাঝি, মৌলভী আব্দুল খালেক, ছফুর মাঝি, জহির মাঝি, হানিফ, বাদশা কোম্পানি, রিদোয়ান, মিয়া মাঝি ও ফজল কাদের মাঝি ফিশিং বোট মাছ ধরার উদ্দেশে সাগর পথে।
বাঁশখালী ফিশিং বোট মালিক সমিতির সভাপতি এয়ার আলী জয়নিউজকে বলেন, ‘বাংলাদশের বিভিন্ন সমুদ্র উপকূলের ফিশিং বোটগুলো এখন সাগরে মাছ ধরছে। শুধুমাত্র চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এলাকার জেলেরা সাগরে নামেনি। তাই অন্ততঃ ৫ দিন আগে কিছু জেলে নেমেছে তাতে দোষের কিছু নেই। তাছাড়া ভারতীয় জেলেরা বাংলাদেশ সীমান্তে এসে বাধা ছাড়া মাছ ধরে নিয়ে যাচ্ছে অথচ প্রশাসনের কোনো পদক্ষেপ নেই। আমাদের কাছে ভিডিওসহ তথ্য আছে ভারতীয় জেলের এই নিষেধাজ্ঞার সময় বাংলাদেশ সীমান্তে মাছ ধরেছে।’
বাঁশখালী উপজেলার সিনিয়র মৎস্য অফিসার মো. মাহব্বুর রহমান জয়নিউজকে বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সাগরে ফিশিংবোট নামানোর খবর পেয়েছি। এব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনীকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।’
চট্টগ্রাম কোস্টগার্ড পূর্ব জোনের স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সাইফুল ইসলাম জয়নিউজকে বলেন, ‘সাগরে ফিশিংবোট নামার খবর পেয়েছি। আমাদের টহলদল সাগরে কাজ করছে। প্রত্যেকটি ফিশিং বোটকে জরিমানা করা হবে। নিষেধাজ্ঞার আগে কাউকে সাগরে নামতে দেওয়া হবে না।’