১.যেখানে আকাশ ছুঁয়েছে মাটিকে
বলিভিয়ার লবণাক্ত সমভূমি এটি। এখানে আকাশের অপূর্ব প্রতিবিম্ব দেখা যায়। পথিক ভুল করে বসে, সে মাটিতে হাঁটছে না আকাশে! প্রাগৈতিহাসিক হ্রদের পানি শুকিয়ে এ লবণাক্ত সমভূমি সৃষ্টি হয়েছে।
২. দৈত্যাকৃতির ক্রিস্টাল কেইভ
মেক্সিকোর নাইকার একটি গুহা এটি। প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্টি হয়েছে এই বিশালাকৃতির ক্রিস্টালগুলো। ১৩৬ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রায় খনিজ উপাদানে সমৃদ্ধ পানি জমাট বেঁধে এই ক্রিস্টাল জন্ম নিয়েছে।
৩. সমুদ্রের পাশেই গোলাপি হ্রদ
পানির রঙ আবার গোলাপি হয় কিভাবে! অস্ট্রেলিয়ার এই হ্রদ দেখে মনে হবে, যেন কেউ গোলাপি রং গুলে দিয়েছে। এই হ্রদের এমন রঙের কারণ এখনো বের করতে পারেনি বিশেষজ্ঞরা। তবে ধারণা করেন, হ্রদটির লবণাক্ততা সমুদ্রের চেয়ে ১০ গুণ বেশি। তাই এতে জন্ম নিয়েছে লবণপ্রেমী অনুজীব ‘ডানেলিয়া সালিনা’। এরা এমন উপাদান নিঃসরণ করে যা বেটা ক্যারোটিনের মত রঙ তৈরিতে সক্ষম।
৪. নোংরা বজ্রপাতের মেঘ
বিজ্ঞানীরা আইসল্যান্ডের এই অদ্ভুত আলোর ঝলকানির নাম দিয়েছেন ‘ডার্টি থান্ডারস্টর্ম’। আগ্নেয়গিরি থেকে সৃষ্ট মেঘের মত এই মেঘে থাকে পাথর আর বিদ্যুৎ।
৫. বরফ হওয়া বুদবুদের হ্রদ
কানাডার আলবার্তায় আব্রাহাম লেক এটি। এতে গাছপালা কিংবা কোনো প্রাণী যখন ডুবে যায়, পানির ব্যাকটেরিয়া সেগুলো পচিয়ে গ্যাস উৎপাদন করে। গ্যাসের বুদবুদ উপরে উঠতে থাকে। কিন্তু যখন ঠা-ায় হ্রদের পানি জমাট বাঁধে, তখন বুদবুদগুলো বের হতে না পেরে এভাবে আটকে থাকে।
৬.ভূতুড়ে গাছ
পাকিস্তানের সিন্ধ গ্রামে দেখা মিলবে এমন ভূতুড়ে গাছের। ২০১০ সালের বন্যায় ভেসে আসা লক্ষ লক্ষ মাকড়সা বাসা বেঁধেছিল এই গ্রামের গাছগুলোতে।
৭.পানি থেকে তারার আলো
মালদ্বীপের এই সৈকতে রাতের বেলা হাঁটলে মনে হবে যেন আকাশের তারা আপনার পায়ে আছড়ে পড়ছে ! প্রকৃতপক্ষে খুঁদে ফাইটো প্ল্যাংকটোন জীব এই আলো জ্বালে শিকারিদের বিভ্রান্ত করার জন্য। রেগে গিয়ে তারা আলো জ্বেলে রাখে।
জয়নিউজ/এডি