নিজের বক্তব্যের ব্যাখা দিলেন প্রিয়া সাহা

বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নির্যাতনের অভিযোগের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছেন প্রিয়া সাহা। রোববার (২১ জুলাই) এক ভিডিও বার্তায় তিনি এই ব্যাখ্যা দেন।

- Advertisement -

তার দাবি, ৩৭ মিলিয়ন হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী মানুষ নিখোঁজ হওয়ার যে তথ্য তিনি ট্রাম্পকে দিয়েছেন, তা সরকারি পরিসংখ্যান থেকেই নেওয়া।

- Advertisement -google news follower

একজন সাংবাদিককে মোবাইলে সাক্ষাৎকার দেন প্রিয়া। সেই ভিডিও তার এনজিও সংস্থা শারির ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ করা হয়।

আরও পড়ুন: প্রিয়া সাহার বিরুদ্ধে ২ মামলা খারিজ

- Advertisement -islamibank

সেখানে সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে প্রিয়া সাহা বলেন, ‘বাংলাদেশের জনসংখ্যা যেভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের হার যদি দেশভাগের সময়ের মতই ২৯.৭ % থাকত, তাহলে তাদের সংখ্যাটাও এখন বেশি হত। এখন এই যে নাই, এইটা যে কমে গেছে, সেটাই আমি বোঝাতে চেয়েছি।’

রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি আমি কোনো রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে চাইনি। আমার নিজের গ্রামের কথা বলি। আমার গ্রামের বাড়ি পিরোজপুরে। সেখানে ২০০৪ সালে ৪০টা (হিন্দু) পরিবার ছিল, এখন ১৩টা পরিবার আছে। এই মানুষগুলো কোথায় গেল, কোথায় আছে, তা তো আপনাদের দেখার কথা বা রাষ্ট্রের দেখার কথা।’

আরও পড়ুন: নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর: প্রিয়া সাহার ব্যাখ্যা না শুনে আইনি ব্যবস্থা নয়

ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে কেন তিনি এমনটি বললেন- এর জবাবে প্রিয়া সাহা বলেন, ‘এই কথাগুলো তো প্রধানমন্ত্রীর কথা। ২০০১ সালে যখন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর নির্বাচনোত্তর চরম নির্যাতন চলছিল ৯৪ দিন ধরে, তখন আজকের প্রধানমন্ত্রী তখন বিরোধী দলীয় নেত্রী ছিলেন। তিনি বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের রক্ষা করার জন্য সারা পৃথিবীতে ঘুরেছেন। সমস্ত জায়গায় বক্তব্য দিয়েছেন। আমি তার কথায় অনুপ্রাণিত হয়ে তার অনুসরণে আমি বলেছি। যেকোনো অন্যায়ের বিরুদ্ধে যেকোনো জায়গায় বলা যায়- এটা আমি তার কাছে শিখেছি।’

জয়নিউজ/এসআই
KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

×KSRM