বোয়ালখালীর সংসদ সদস্য মাইন উদ্দিন খান বাদল বলেন, কালুরঘাট সেতু না হলে সংসদ থেকে পদত্যাগ করে প্রয়োজনে গাছের তলায় বসে ভিক্ষা করব।
বুধবার (২৪ জুলাই) বেলা সাড়ে ১২টায় নগরের আরাকান সড়কে উসমানিয়া গ্লাস কারখানা চত্বরে বহদ্দারহাট থেকে কালুরঘাট সড়কের উন্নয়নকাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
২০১২ সালের পর চারবার কালুরঘাট সেতুটির জরিপ করা হলেও এর কাজে কোনো গতি না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন সাংসদ বাদল। অবিলম্বে নতুন সেতু নির্মাণ করে নগরের সঙ্গে দক্ষিণ চট্টগ্রামের যোগাযোগ সহজ করার দাবিও জানান তিনি। অন্যথায় সবাইকে নিয়ে আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
তিনি বলেন, দেশের এমন অনেক সেতু নতুন করে করা হয়েছে যেখানে দিনে হয়ত সাকুল্যে চারটা গরু হাটে। অথচ কালুরঘাট সেতুর মতো জনগুরুত্বপূর্ণ একটি সেতুর এমন ভগ্নদশা হওয়ার পরও নতুন সেতু হচ্ছে না।
আরাকান সড়ক নিয়ে বাদল বলেন, এ সড়কের কাজ শেষ হলে দুই থেকে পাঁচলাখ লোকের উপকার হবে। যারা এতদিন মেয়র আর আমার বাপ-মা ধরে গালি দিতেন তারা যেন এবার দোয়া করেন।
চট্টগ্রামের পরিকল্পনা মাফিক উন্নয়ন হচ্ছে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, অপরিকল্পিতভাবে নির্মিত ফ্লাইওভারের উপরে-নিচে পানি জমে যাচ্ছে। জনগণের টাকা, সরকারের টাকা দিয়ে উন্নয়নকাজ করে নিজে করেছি বলে যারা ক্রেডিট নিতে চায় এমন রাজনীতিকদের নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বাদল।
আরাকান সড়কের উন্নয়নকাজের সঙ্গে যুক্ত ঠিকাদারদের বাড়ি চিনে রাখার কথা জানিয়ে বাদল বলেন, যদি কাজে কোনো গাফিলতি থাকে, তাহলে তাদের বাসায় গিয়ে জবাব চাইব।
বঙ্গবন্ধু মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয়, আইসিটি পার্ক, নারীদের জন্য একশ’ শয্যার আধুনিক হোস্টেল নির্মাণে প্রধানমন্ত্রীর ঐকান্তিক ইচ্ছার কথাও জানান তিনি।
চান্দগাঁও ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন খালেদ সাইফুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উদ্বোধক ছিলেন সাংসদ মাইন উদ্দিন খান বাদল। অন্যান্যের মধ্যে চসিক প্যানেল মেয়র জোবাইদা নার্গিস খান, কাউন্সিলর মোহাম্মদ আজম ও চসিক প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল মহিউদ্দিন আহমদ বক্তব্য রাখেন।
প্রসঙ্গত, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) তত্ত্বাবধানে ও এশিয়ান ডেভলপমেন্ট প্রোগ্রামের (এডিপি) ৭১ কোটি টাকা আর্থিক সহযোগিতায় আরাকান সড়কের উন্নয়নকাজ বাস্তবায়িত হচ্ছে।