সীতাকুণ্ডের সলিমপুরে ছেলেধরা সন্দেহে রেহেনা বেগম (৪৫) নামে এক নারীকে পিটিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার ঘটনায় মামলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) রাতে সীতাকুণ্ড মডেল থানায় এ মামলা রেকর্ড করা হয়। রেহেনা বেগমের চাচাতো ভাই নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে এ মামলা করেন।
মামলায় স্থানীয় পারভেজ, বেলাল, রনি, নজরুল ও মিরাজসহ অজ্ঞাত ৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইন্সপেক্টর (তদন্ত) শামীম শেখ।
এর আগে শনিবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে সলিমপুর ইউনিয়নের পুরোনো দাইয়া বাড়িতে ছেলেধরা সন্দেহে রেহেনা বেগমকে মারধর করে স্থানীয়রা। খবর পেয়ে ফৌজদারহাট পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ওই নারীকে উদ্ধার করে।
রেহেনা বেগমের বাড়ি হাটহাজারীর রঙ্গীপাড়ার। তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন বলে জানিয়েছে পুলিশ ও তার পরিবারের সদস্যরা।
ঘটনার দুইদিন পর মঙ্গলবার সকালে ঘটনাটি তদন্তে ওই এলাকায় যান সীতাকুণ্ড থানার পরিদর্শক সুমন বনিকের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল।
সীতাকুণ্ড মডেল থানার পরিদর্শক সুমন বনিক জানান, তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে জনপ্রতিনিধিসহ সবার সঙ্গে কথা বলেছেন। গুজবের উপর ভিত্তি করে মানসিক ভারসাম্যহীন ওই নারীর ওপর হামলা হয়েছে।
ফৌজদারহাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর রফিক আহমেদ মজুমদার জয়নিউজকে বলেন, ওইদিন খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে যাই। যদি আর কিছু সময় দেরি হতো তা হলেও হয়তো ওই নারীকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হতো না।
সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দেলওয়ার হোসেন জয়নিউজকে বলেন, গুজবের ভিত্তিতে যারা ক্ষিপ্ত হয়ে ওই নারীকে মারধর করে অবৈধভাবে আটক করেছেন তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।