গুজব ছড়ানোয় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন চট্টগ্রাম পুলিশ সুপার নুরে আলম মিনা। সেইসঙ্গে গুজব মোকাবেলায় সচেতনতামূলক প্রচারণা চালানো হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) নগরের ২ নম্বর গেট এলাকার একটি কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মলেনে তিনি এ সব কথা বলেন।
‘পদ্মা সেতুতে মানুষের মাথা লাগবে’ গুজবে সরকার বিরোধীদের সংশ্লিষ্টতা আছে দাবি করে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে আমাদের পুলিশ হেড কোয়ার্টার এ গুজবের মূল উৎপত্তিস্থল খুঁজে পেয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবেলায় হেড কোয়ার্টার থেকে আমাদের দিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
গুজব মোকাবেলায় চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের নানা উদ্যোগের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, গুজব প্রতিরোধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার, কমিউনিটি পুলিশিং সভা এবং স্থানীয় সরকার প্রতিনিধিদের সঙ্গে সমন্বয় করে স্কুল-মাদ্রাসায় প্রচার, এলাকায় মাইকিং ও মসজিদে প্রচারণা চালানো হচ্ছে।
এরপরও যারা গুজব ছড়ানো এবং সমাজে গণপিটুনির মতো অরাজকতা সৃষ্টির চেষ্টা করবে, তাদের বিরুদ্ধে আমরা কঠোর ব্যবস্থা নেব। গণধোলাইয়ের ঘটনায় জড়িত সকলকে, এমনকি যারা সেসব ঘটনার ভিডিও করছে এবং এ ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দিচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, চট্টগ্রামে ছেলেধরা গুজব ছড়িয়ে এখন পর্যন্ত ৫টি গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে। এরমধ্যে তিনটি মামলা দায়ের হয়েছে এবং ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ৫টি ঘটনার তিনটিতেই মানসিক ভারসাম্যহীন লোকদের বিনা কারণে মারধর করা হয়েছে। বাকি দু’টি ঘটনা ছিল একেবারেই পরিকল্পিত।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) একেএম এমরান ভূঁইয়া, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উত্তর) মশিউদ্দৌলা রেজা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দক্ষিণ) আফরুজুল হক টুটুল প্রমুখ।
জয়নিউজ/পিপিএন/আরসি