চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, মেয়রের নির্ধারিত কিছু দায়িত্ব আছে। দায়িত্বের বাইরেও আমি যতটুকু পারছি মানুষকে সময় দিচ্ছি। বাসা থেকে বের হতে রীতিমতো আমাকে যুদ্ধের মোকাবেলা করতে হয়।
বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) দুপুরে নগরের রীমা কনভেনশন সেন্টারে ‘জনতার মুখোমুখি মেয়র’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে জামালখান ওয়ার্ডের বাসিন্দা মনি সেনগুপ্তার এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র এসব কথা বলেন।
মনি সেনগুপ্তা মেয়রকে বলেন, আপনার বাসায় গিয়ে সাক্ষাৎ করতে পারিনি। নিরাপত্তারক্ষীরা আপনার সঙ্গে দেখা করতে দেননি। এসময় আবেগে কেঁদে ফেলেন তিনি।
এর জবাবে মেয়র বলেন, এখন আমার বাসা থেকে বের হওয়া যুদ্ধের মতো। ড্রয়িংরুমে ৬০-৭০ জন বসে থাকে। করিডোরেও লোক দাঁড়িয়ে থাকে। মেয়রের নির্ধারিত কিছু দায়িত্ব আছে। দায়িত্বের বাহিরেও আমি যতটুকু পারছি আপনাদের সময় দিচ্ছি। অনেকে এমন সব আবদার নিয়ে আসে যা আমার আওয়াতার বাইরে।
অনুষ্ঠানে জলাবদ্ধতা নিয়ে অনেকেই মেয়রের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। উত্তরে মেয়র বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসন অনেক চ্যালেঞ্জিং ব্যাপার। ইতোমধ্যে সিডিএ মেগা প্রকল্প হাতে নিয়েছে। সিডিএ ও সেনাবাহিনী যৌথভাবে জলাবদ্ধতা নিয়ে কাজ করছে।
নগরের গণপরিবহনে বিশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে মেয়র বলেন, গণপরিবহনে শৃঙ্খলা ও নিরাপদ যাত্রীসেবার লক্ষ্যে ১০০টি এসি বাস নামাতে একটি শিল্পপ্রতিষ্ঠানকে রাজি করিয়েছি। ইতোমধ্যে তারা এলসি খুলেছে। বিআরটিএ ও সিএমপিকে অনুরোধ জানিয়েছি, দ্রুত অনুমোদন দেওয়ার জন্য।
এসময় মেয়র আরো বলেন, নিরাপদ, বাসযোগ্য, পরিষ্কার ও সবুজনগর ক্রমে হিসেবে দৃশ্যমান হচ্ছে। এ কাজে নগরবাসীকে আমাদের সঙ্গে পেতে চাই। জোর করে চাপিয়ে দিলে উন্নয়ন টেকসই হয় না। তাই ধীরগতিতে এগোচ্ছি আমরা।
আমার প্রত্যাশা, উন্নত দেশের সমৃদ্ধ নগরের মতো চট্টগ্রামকে গড়ে তোলা। এটির বাস্তবায়ন সম্ভব। যা বাস্তবায়ন করতে পারব- তার স্বপ্ন নগরবাসীকে দেখতে চাই। যা বাস্তবায়ন করা যাবে না- সেই স্বপ্ন দেখাতে চাই না, বলেন মেয়র।
অনুষ্ঠানে মেয়র বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের নানা প্রশ্নের উত্তর দেন। এতে জামালখান ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন ও কাউন্সিলর মনোয়ারা বেগম মনি বক্তব্য রাখেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন প্যানেল মেয়র চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী ও সচিব আবু সাহেদ চৌধুরীসহ চসিকের কর্মকর্তারা।
অনুষ্ঠানে চসিকের অর্থায়ন ও উদ্যোগে চার বছরে বাস্তবায়ন করা প্রকল্প, বেসরকারি উদ্যোগে এ ওয়ার্ডে সৌন্দর্যবর্ধনের নানা প্রকল্প, ঐতিহ্য ও স্থাপনা নিয়ে একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়।