বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের বর্তমান অবস্থা নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন। তাকে জরুরিভিত্তিতে মুক্তির দাবি জানিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শুক্রবার (২৬ জুলাই) বিকেলে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন মির্জা ফখরুল।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, গত এক সপ্তাহে খালেদা জিয়ার ওজন অনেক কমে গেছে। আপনারা ম্যাডামকে দেখলে এখন চিনতে পারবেন না। তিনি অনেক শুকিয়ে গেছেন। বিষয়টা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভেবে আপনারা জনগণের সামনে তুলে ধরুন। সরকারের কাছে আপনাদের মাধ্যমে জানাতে চাই, অবিলম্বে তাকে মুক্তি দিয়ে সুচিকিৎসার সুযোগ দেওয়া হোক।
তিনি আরো বলেন, আপনারা দেখেছেন তিনি (খালেদা জিয়া) যখন কারাগারে গিয়েছেন তখন সুস্থ অবস্থায় হেঁটে গিয়েছেন। এখন তিনি হুইল চেয়ার ছাড়া চলতে পারছেন না। প্রকৃত অবস্থা তার চেয়েও ভয়াবহ। আমি ঈদের আগের দিন অনুমতি পেয়েছিলাম ও তার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম। আমি দেখেছি, তার রুমে বসার একটি চেয়ার আছে সেটিতে তিনি বসেছেন কিন্তু তাকে বসিয়ে দিতে হয়েছে। তিনি এখন বিছানা থেকে একা উঠতে পারেন না। দুইজন সহায়তা করে তাকে বিছানা থেকে উঠাতে হয়। হুইল চেয়ারে বসিয়ে ওয়াশ রুম কিংবা বিছানায় নিতে সাহায্য করতে হয়।
এসময় তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার জিহ্বায় ঘা হয়েছে, সেজন্য তিনি সবচেয়ে বেশি কষ্ট পাচ্ছেন। তার দাঁত শার্পনেস হয়ে গিয়েছিল, সেটা গ্রাইন্ডিং করে কমানো হয়েছিল। সেটি আবার বেড়েছে। তার দাঁতের রুট-ক্যানেল করা দরকার। তিনি ইনসুলিন নিচ্ছেন ও ডায়াবেটিসের ওষুধ খাচ্ছেন, তারপরও তার ডায়াবেটিস ২০ এর নিচে নামছে না। হাত দিয়ে কিছু ধরতে পারেন না। দুই সোল্ডার ফ্রোজেন হয়ে গেছে। হাঁটা খুব দরকার, কিন্তু হাঁটতে পারছেন না। এমনতাবস্থায় যে তারপক্ষে হাঁটা সম্ভব নয়।
আমরা তার স্বাস্থ্য নিয়ে অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। তাকে কারাগারে নেওয়ার পরে সরকার রাজনৈতিক উদ্দেশে যেসব মামলায় নরমালি জামিন হয়ে যায় সেগুলোতেও বিলম্ব করাচ্ছে। নিম্ন আদালততো বটেই উচ্চ আদালতেও বিভিন্ন রকম কারসাজি করে তার জামিন বিলম্বিত করছে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ড. আব্দুল মঈন খান, সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু উপস্থিত ছিলেন।