উত্তাল একাত্তর। পরাধীনতার শিকল ভাঙতে মরিয়া মুক্তিকামী বাঙালি। বাঙালির ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই সময়টাতেই জন্ম তাঁর। জন্মটাও সাধারণ কোনো ঘরে নয়, বিখ্যাত এক পরিবারের সদস্যের তকমা নিয়ে। যাঁর পিতামহ বাংলাদেশের স্বাধীনতায় দিয়েছেন নেতৃত্ব, পেয়েছেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালির খেতাব। আর তাঁর মা’তো বদলে দিয়েছেন পুরো বাংলাদেশকে। প্রধানমন্ত্রীর পদে আসীন হয়ে তিনি বাংলাদেশকে দিয়েছেন অর্থনৈতিক মুক্তির স্বাদ।
তিনি সজীব ওয়াজেদ জয়! বাংলাদেশের মহান স্থপতি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৌহিত্র। তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালে ১৯৭১ সালের এই দিনে জন্মগ্রহণ করেন।
পরমাণু বিজ্ঞানী এম ওয়াজেদ মিয়া ও শেখ হাসিনার প্রথম সন্তান জয়। জয়ের নাম রাখেন তাঁর নানা শেখ মুজিবুর রহমান।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর মায়ের সঙ্গে বাবার কর্মস্থল জার্মানি হয়ে ভারতে যান জয়। তাঁর শৈশব-কৈশোর কাটে ভারতে। তিনি সেখানকার নৈনিতালের সেন্ট জোসেফ কলেজে লেখাপড়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস অ্যাট আর্লিংটন থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন।
পরবর্তীতে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লোক প্রশাসনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। ২০০২ সালের ২৬ অক্টোবর ক্রিস্টিন ওয়াজেদকে বিয়ে করেন জয়। তাদের সন্তানের নাম সোফিয়া ওয়াজেদ।
২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নির্বাচনি ইশতেহারে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ এর ধারণাটি জয়ের উদ্যোগেই যুক্ত হয়। দেশের মানুষ এ ধারণা ব্যাপকভাবে গ্রহণ করেছিল, যা ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনার ক্ষেত্রে বিরাট ভূমিকা রাখে।
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের পক্ষে নির্বাচনি প্রচারণায়ও অংশ নেন তিনি। তার আগে ২০১০ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি সজীব ওয়াজেদ জয় রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্যপদ গ্রহণ করেন।
বর্তমানে জয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করছেন।
জয় দেশে থাকলে প্রতিবছর তাঁর জন্মদিনে মা শেখ হাসিনা নিজে রান্না করে খাওয়ান তাঁকে। পাশাপাশি অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে কেক কেটে জন্মদিন উদযাপন করা হয়। কিন্তু এবার প্রধানমন্ত্রী সরকারি সফরে লন্ডনে রয়েছেন। জয়ও যুক্তরাষ্ট্রে। এ কারণে এবার দেশে তাঁর জন্মদিনের কোনো আনুষ্ঠানিকতা নেই।
জয়নিউজ/আরসি