চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডাঃ শাহাদাত হোসেন বলেছেন, বর্তমান সরকার এখন ব্রেকফেল করা গাড়ির মত বিপজ্জনক। আজীবন ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য বিএনপি নেতা কর্মীদের দমন নিপীড়ন চালানো হচ্ছে। রাতের আঁধারে হানাদার বাহিনীর মতো ধরে নিয়ে পৈশাচিক নির্যাতন চালাচ্ছে। আমরা গায়েবী জানাযার কথা জানতাম, কিন্তু বর্তমান সরকারের সময়ে দেখছি গায়েবী সংসদ সদস্য। এখন নতুন করে নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করে গায়েবী মামলা দেয়া হচ্ছে। চট্টগ্রামসহ সারাদেশে গণগ্রেফতার শুরু করেছে।
শনিবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নগর বিএনপির উদ্যোগে কারাগারে আদালত বসানোর প্রতিবাদে নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয় মাঠে কেন্দ্রঘোষিত প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, বর্তমান সরকার সম্পূর্ণ প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে অসাংবিধানিকভাবে কারাগারে আদালত বসিয়ে বেগম জিয়াকে আরেকটি প্রহসনের সাজা দিতে পাঁয়তারা করছে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জামিন প্রক্রিয়া বার বার বাঁধাগ্রস্ত করছে সরকার। তিনি একের পর এক মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেলেও তা আবার নানা কায়দায় আটকে দিচ্ছে। সরকারের নির্দেশেই বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে আটকে আছেন। বেগম জিয়া সুবিচারে নয় প্রতিহিংসামূলক সরকারি বিচারে কারাবন্দী।
সিনিয়র সহ-সভাপতি আলহাজ্ব আবু সুফিয়ান বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে সংবিধানের দোহাই দিয়ে কোন গড়িমসি চলবে না। নির্বাচনে সেনা মোতায়েন করতে হবে। জনগণের ভোট জনগণ দিতে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের কোন বিকল্প নেই। শেখ হাসিনা সুষ্ঠু নির্বাচনের শক্র। তার অধীনে নির্বাচনের অর্থই হচ্ছে ভোটারদের ভোটধিকার হরণ। শেখ হাসিনার অধীনে কোন নির্বাচন জনগণ মেনে নিবে না।
নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসেম বক্কর বলেছেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার মামলায় সাজা দিয়ে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে কারাগারে বন্দী করে রাখা হয়েছে। শুধু তাই নয় দেশনেত্রী বর্তমানে খুবই অসুস্থ। তাঁর বা হাত ও বাম পা প্রায় অবশ হয়ে গেছে। অসহ্য ব্যথা অনুভব করছেন তিনি। অথচ সরকার তার সুচিকিৎসার কোন উদ্যোগ গ্রহণ করে নাই। সরকার তাকে বিনা চিকিৎসায় হত্যা করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।
কেন্দ্রীয় শ্রমবিষয়ক সম্পাদক এম এ নাজিম উদ্দিন বলেন, সরকার এখন ভীতসন্ত্রস্ত অবস্থায় আছে। জনগণ আওয়ামীলীগকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে। তাই তারা বিএনপি নেতা কর্মীদের গণগ্রেফতার শুরু করেছে। কোন রাজনৈতিক কর্মসূচি না থাকলেও সম্পূর্ণ বিনা কারণে নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করছে।
কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য সামশুল আলম বলেছেন, এখন আর ঘরে বসে থাকার সময় নেই। সরকারের দুরভিসন্ধি জনগণের কাছে ধরা পড়ে গেছে। নেত্রীকে মুক্ত করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহ সভাপতি আলহাজ্ব এম এ আজিজ, মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, হাজী মোহাম্মদ আলী, আশরাফ চৌধুরী, হারুন জামান, সফিকুর রহমান স্বপন, অধ্যাপক নুরুল আলম রাজু এস এম আবুল ফয়েজ, উপদেষ্টা হাজী নবাব খান, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক এস এম সাইফুল আলম, যুগ্ম সম্পাদক কাজী বেলাল উদ্দিন, শাহ আলম, ইসকান্দর মির্জা, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আবদুল মান্নান, জাহাঙ্গীর আলম দুলাল, মনজুর আলম মঞ্জু, আনোয়ার হোসেন লিপু, গাজী মোহাম্মদ সিরাজ উল্যাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক মনজুর আলম চৌধুরী মঞ্জু, কামরুল ইসলাম, হাজী মো. তৈয়ব, প্রচার সম্পাদক শিহাব উদ্দিন মুবিন, নগর মহিলা দল সভাপতি কাউন্সিলর মনোয়ারা বেগম মনি প্রমুখ।
জয়নিউজ/এফএম/জেডএইচ