তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন দেশ এগিয়ে চলছে, ছেঁড়া কাপড়-স্যান্ডেল এখন আর কেউ পড়ে না। ঘরে ঘরে গিয়ে কেউ বাসি ভাত খুঁজে না। কবিতা ছাড়া আর কোথাও কুঁড়েঘর খুঁজে পাওয়া যাবে না।
মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) সকালে চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে গৌরবের অভিযাত্রায় ৭০ বছর তারুণ্যের ভাবনায় আওয়ামী লীগ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে তরুণদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন আওয়ামীলীগ নেতারা। পোর্ট সিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র গোলাম মোস্তফার মুক্তিযুদ্ধের ঘোষক নিয়ে বিভ্রান্তির প্রশ্নের উত্তরে তথ্যমন্ত্রী বলেন, জিয়া মুক্তিযুদ্ধের ঘোষক এই কথাটা তার জীবিত সময়ে কেউ বলেনি। তিনি মারা যাওয়ার পর এই কথা বলা হয়। তিনি এই মিথ্যে কথাটা শুনলে আবার কবরে কাত হয়ে যেতেন। যে বা যারা এ প্রচারণা চালায় তাদের দুরভিসন্ধি আছে। যদিও এখন সে সুযোগ নাই। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস এখন সবাই সব জানে। বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার প্রথম ঘোষণা পাঠ করেন এম এ হান্নান। পরে আরো অনেকেই এ কাজ করেছেন।
চট্টগ্রামের উন্নয়ন বিষয়ে কয়েকজনের প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রামের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রীর সুনজর আছে। তাই বড় বড় মেগা প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। তবে এখানে সেবা সংস্থাগুলোর মধ্যে প্রচন্ড সমন্বয়হীনতার অভাব। আর এর ফলে কিছু সমস্যা হয়। সিটি করপোরেশন রাস্তা করলে ওয়াসা, বিদ্যুৎ, সিডিএ গিয়ে সে রাস্তা খুঁড়ে দিয়ে আসে। যদিও তারা বিভিন্ন উন্নয়ন ও সংস্কারের কাজে সেটা করেন ঠিকই। কিন্তু এতে সাধারণের ভোগান্তি হয়।
আর এই প্রথম কেবিনেটে চট্টগ্রামের সমস্যা বিষয়ে সকল সেবা সংস্থার প্রধানদের নিয়ে আলোচনা হবে। আগামীকাল (৩১জুলাই) ঢাকায় এ সভা হবে। আশা করি এরপর চট্টগ্রামের উন্নয়নে ভোগান্তি কমে আসবে।
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত বিশেষ সচিব শাহ আলী ফরহাদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম, নগরপিতা আ জ ম নাছির উদ্দীন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, কক্সবাজারে সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল ও সংসদ সদস্য ওয়াসিকা আয়েশা খান।
জয়নিউজ/পার্থ/পিডি