প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগিতা করতে সবসময় প্রস্তুত থাকেন বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ড. মো. এনামুর রহমান।
মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) সকালে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির বিশেষ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, সরকারের নির্বাচনি ইশতেহারের ঘোষণা অনুযায়ী দেশের কোনো মানুষ গৃহহীন থাকবেনা। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে কোনো মানুষ বাস্তুচ্যুত হবেনা। বন্যা পরবর্তী পুনর্বাসন সঠিকভাবে করতে পারলেই ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ বন্যার ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারবে। বন্যাকবলিত এলাকায় নিরাপদ পানি নিশ্চিত করতে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরকে প্রস্তুত থাকতে হবে।
তিনি আরো বলেন, চট্টগ্রাম জেলার জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে ৯ শত মেট্রিক টন চাল, ৮ হাজার ৪ শত ৪০ টি শুকনো খাবারের প্যাকেট বরাদ্দ করা হয়। নগদ অর্থ দেওয়া হয় ১৮ লাখ টাকা। ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ি মেরামত ও নির্মাণের জন্য ২০০ বান্ডিল ঢেউটিন ও গৃহ নির্মাণ মঞ্জুরী হিসেবে ৬ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. শাহ্ কামাল ও পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. ফয়েজ আহমদ।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ আজিজুর রহমান সিদ্দিকী, বিজিবির ডেপুটি রিজিয়ন কমান্ডার কর্নেল মতিউর রহমান, জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মশিউদৌলা রেজা, রাউজান উপজেলা চেয়ারম্যান এহছানুল হায়দার চৌধুরী বাবুল, ফটিকছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আবু তৈয়ব, ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক মো. আব্দুল মান্নান, বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার, উপ-পরিচালক মো. রুহুল আমিন, এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ওয়াহিদুজ্জামান, সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী জুলফিকার আহমেদ, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী বিদ্যুৎ কুমার সাহা, জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক সুশান্ত সাহা , সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার হৃষিকেশ শীল, সাংবাদিক রনজিত কুমার শীল, সাংবাদিক আরিফুর রহমান সবুজ, কোতোয়ালি থানা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা শরমিন আক্তার, বাঁশখালী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবুল কালাম ও ফটিকছড়ি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবুল হোসেন।
সভায় বিভিন্ন উপজেলা নির্বাহী অফিসার, বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের পদস্থ কর্মকর্তা, এনজিও প্রতিনিধি ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে দুপুরে প্রতিমন্ত্রী সাতকানিয়া ও লোহাগাড়া উপজেলার কয়েকটি স্থানের বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শন করেন এবং ক্ষতিগ্রস্ত লোকদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন।
তিনি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের খোঁজ-খবর নেন। সাতকানিয়া উপজেলার জন্য ১শ ৫৫ মেট্রিকটন, চাল ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ২ হাজার ১শ ৪০ প্যাকেট শুকনো খাবার, ১শ বান্ডিল ঢেউটিন ও গৃহ নির্মাণের জন্য ৩ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়।
লোহাগাড়া উপজেলার জন্য ২৭ মেট্রিকটন চাল ও ১ হাজার ২শ প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।