চট্টগ্রামকে একটি আধুনিক ও পরিবেশবান্ধব নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে ১৭টি ভবিষ্যত পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)।
এ প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হলে চট্টগ্রাম পরিবেশগত, প্রযুক্তিগত এবং অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ একটি নান্দনিক নগরে পরিণত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।
মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) দুপুরে নগরের থিয়েটার ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট অধিবেশনে মেয়র এ পরিকল্পনাগুলোর কথা জানান।
বাজেট অধিবেশনে সিটি মেয়র তার ১৭টি ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করে বলেন, আধুনিক নগরভবন নির্মাণ, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের স্মার্ট সিটি প্রকল্প, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের আওতাধীন এয়ারপোর্ট রোড সম্প্রসারণ ও বিভিন্ন অবকাঠামো উন্নয়ন ও বিনির্মাণ, সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য আবাসিক ভবন নির্মাণ, নগরে যানজট নিরসনের লক্ষ্যে মেট্রোরেল নির্মাণ, মাস্টার প্ল্যানের সুপারিশমতে প্রস্তাবিত নতুন সড়ক নির্মাণ, ফিরিঙ্গি বাজার হতে বারিক বিল্ডিং পর্যন্ত ফ্লাইওভার নির্মাণ, মুরাদপুর, ঝাউতলা, অক্সিজেন ও আকবর শাহ রেলক্রসিং-এর উপর ওভারপাস নির্মাণ, ঢাকামুখী ও হাটহাজারীমুখী বাস টার্মিনাল নির্মাণ, কন্টেইনার ট্রাক টার্মিনাল নির্মাণ, নগরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে ওভারপাস/আন্ডারপাস নির্মাণ, সিটি করপোরেশনের নিজস্ব জায়গায় বহুমুখী ভবনসহ আয়বর্ধক স্থাপনা নির্মাণ, নগরের কাঁচা বাজারগুলোকে আধুনিকায়ন, বাকলিয়া সিটি করপোরেশনের জায়গায় স্পোর্টস কমপ্লেক্স নির্মাণ, ওয়ার্ডভিত্তিক খেলার মাঠ, শিশুপার্ক, কমিউনিটি সেন্টার, মিলনায়তন, ব্যায়ামাগার ও কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নির্মাণ নগরের বিভিন্ন স্থানে আধুনিক কনভেনশন হল নির্মাণ এবং নগরে জোনভিত্তিক থিয়েটার ইনস্টিটিউট নির্মাণ করা হবে।
মেয়র বলেন, সিটি করপোরেশনের মূল লক্ষ্য হচ্ছে দৈনন্দিন ব্যয় হ্রাস করে উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের উপর অধিক মনোযোগী হওয়া। বাস্তবতার নিরিখে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ, পরিবেশ ও পরিচ্ছন্ন ব্যবস্থায় উন্নয়নকে প্রাধান্য দিয়ে করপোরেশন অগ্রাধিকারভিত্তিতে কাজ করে যাচ্ছে। তবে করপোরেশনের ভবিষ্যত পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়িত হলে চট্টগ্রাম নগরের চেহারা বদলে যাবে। অন্য এক চট্টগ্রামকে দেখবে সবাই।