তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের উদ্যোগে ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের আয়োজনে প্রথমবারের মতো চট্টগ্রাম-কক্সবাজারকে নিয়ে উন্নয়ন সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (৩১ জুলাই) দুপুর আড়াইটা থেকে সচিবালয়ে এ সভা শুরু হয়ে বিকেল ৪টায় শেষ হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। এতে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, চট্টগ্রাম সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল জুলফিকার আজিজ, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. শফিউল আলম, বিদ্যুৎ সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলাম, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মো. নুরুল আলম নিজামী, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী, চট্টগ্রাম ওয়াসার উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (প্রশাসন) গোলাম হোসেন, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেন, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন ও সিডিএ’র প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস প্রমুখ।
সভার বিষয়ে চট্টগ্রামের সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন জয়নিউজকে বলেন, চট্টগ্রামে বিভিন্ন সংস্থার যেসব প্রকল্প চলমান আছে, সেসব কাজ যাতে টেকসই হয়। উন্নয়নের যে প্রসব যন্ত্রণা, সেটা যাতে সহনীয় পর্যায়ে হয়। প্রকল্প গ্রহণ পর্যায় থেকে শেষ পর্যন্ত, প্রত্যেক সংস্থার মধ্যে সুন্দর বোঝাপড়ার মাধ্যমে প্রকল্পগুলো যাতে বাস্তবায়ন হয়- এসব বিষয়ে অলোচনা হয়েছে।
জলাবদ্ধতা নিয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে মেয়র বলেন, জলাবদ্ধতা কম-বেশি দেশের সব জায়গায় হচ্ছে, রাজধানীতেও হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামের উন্নয়ন নিজের হাতে তুলে নিয়েছেন। জলাবদ্ধতা নিরসনে চট্টগ্রাম ছাড়া আর কোথাও প্রকল্প দেওয়া হয়নি। এখন জলাবদ্ধতা প্রকল্পটি প্রশ্নবিদ্ধ না হয়ে যথাসময়ে বাস্তবায়িত এবং এর সুফল যাতে সত্যিকার অর্থে নগরবাসী পায় সেটাই মুখ্য বিষয়।
উন্নয়নের দীর্ঘপ্রক্রিয়া নিয়ে যাতে অপরাজনীতি ও বিভ্রান্তি তৈরি না হয়। এজন্য সমন্বয়, তদারকি ও মান বজায় রেখে প্রকল্প বাস্তবায়ন নিশ্চিত করার বিষয়ে সভায় আলোচনা হয়েছে, বলেন মেয়র নাছির।
তথ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে প্রথমবারের মতো চট্টগ্রাম-কক্সবাজারকে নিয়ে উন্নয়ন সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে জানিয়ে মেয়র বলেন, এ ধরনের সমন্বয় সভা আগামীতে আরো হবে। আজকের সভায় উন্নয়ন প্রকল্প মনিটরিং করার জন্য একটা কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। মন্ত্রীপরিষদ সচিবের নেতৃত্বে ওই কমিটি গঠনের বিষয়েও প্রস্তাব এসেছে।
সভায় রেলওয়ের একজন অতিরিক্ত মহাপরিচালক, পর্যটন মন্ত্রণালয়ের একজন যুগ্ম সচিব ও সেতু বিভাগের একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তাও অংশ নেন।