হাটহাজারীর ফতেপুর ইউনিয়নের হেলাল চৌধুরী পাড়া এম কে রহমানিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৩৩৬ জন। তাদের পাঠদান করেন আটজন শিক্ষক।
তবে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহারের অনুপযোগী ওই খেলার মাঠটি। তাইতো শিক্ষার্থীরা ওই মাঠে খেলাধুলা করা থেকে বঞ্চিত হওয়ার পাশাপাশি প্রতিদিনের এসেম্বলি করতে হতো স্কুলের বারান্দায়।
অথচ এক সপ্তাহের ব্যবধানে হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রুহুল আমিনের ব্যক্তিগত উদ্যোগে বদলে গেল স্কুলটির প্রতিদিনকার চিত্র।
এ ব্যাপারে ইউএনও রুহুল আমিন জানান, ২৫ জুলাই সকাল সাড়ে ১১টায় আমি উক্ত বিদ্যালয়টি পরিদর্শনে যান।
উদ্দেশ্য ছিল স্কুলটির কোমলমতি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা বিষয়ক কিছু কথা বলা। এ সময় স্কুলের গেট দিয়ে ঢুকেই দেখলাম স্কুল ভবনের সামনের ছোট্ট মাঠে পানি জমে আছে। সেই পানিতে মশার জন্ম হওয়াটাও অস্বাভাবিক কিছু না।
প্রধান শিক্ষক জোবাইদা খানমের কাছে জানতে চাইলাম, বাচ্চারা সকালে এসেম্বলি করে কোথায়? তিনি জানান, বারান্দায় করে। খেলাধুলা করে কোথায়? তিনি প্রত্যুত্তরে জানালেন,পানি জমে থাকার কারণে রুমেই খেলাধুলা করে বাচ্চারা।
বিষয়টি জানতে পেরে আমি খুব হতবাক হয়। ওই দিন স্কুল পরিদর্শন শেষে কর্মস্থলে ফিরে আসার এক সপ্তাহের মধ্যে ব্যক্তিগত উদ্যোগ নিয়ে ছোট্ট একটি প্রকল্পের মাধ্যমে মাঠটি বাচ্চাদের খেলাধুলা করার এবং এসেম্বলির উপযোগী করে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, ইউএনও’র ব্যতিক্রমী কর্মতৎপরতায় মাঠটি বাচ্চাদের খেলাধুলা করা এবং এসেম্বলির উপযোগী হওয়ায় স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মুখে ফুটেছে অমলিন হাসি।