রাজধানীর বনানী থেকে চট্টগ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা দিদারুল আলম মাসুমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
রোববার (৪ আগস্ট) রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। দিদারুল আলম মাসুম নগরের লালখান বাজার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মঈন উদ্দিন জয়নিউজকে বলেন, মহানগর ছাত্রলীগের নেতা সুদীপ্ত বিশ্বাস হত্যার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় মাসুমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এর আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে দিদারুল আলম মাসুমের ব্যক্তিগত দু’টি অস্ত্রের লাইসেন্স বাতিল করা হয়। পরে শনিবার (৩ আগস্ট) দুপুরে থানায় গিয়ে ব্যক্তিগত অস্ত্রগুলো জমা দেন মাসুম।
এদিকে মাসুম গ্রেপ্তারে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন ছাত্রলীগের সাবেক নেতারা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক এক নেতা বলেন, আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে মাঠ ছেড়ে যাননি মাসুম। বিশেষ করে ২০১৩ সালে হেফাজত ইসলাম যখন লালখান বাজারে অবস্থান করে পুরো চট্টগ্রামকে অচল করে দেওয়ার পাঁয়তারা করছিল, ঠিক তখন মাসুম ভাই এগিয়ে এসেছিলেন। আর আজ তিনি গ্রেপ্তার। এভাবে নিবেদিত আওয়ামী লীগ নেতাদের নিঃস্ব করার পরিকল্পনা চলছে।
মাসুমের পরিবারের বক্তব্য, বৈধ অস্ত্রগুলোর লাইসেন্স বাতিলের পর আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে মাসুম থানায় গিয়ে অস্ত্রগুলো জমা দিয়ে আসে। তারপরেও আজ তাকে কেন গ্রেপ্তার করা হলো, সেটা আমাদের বোধগাম্য নয়।
উল্লেখ, ২০১৩ সালে চট্টগ্রামের লালখান বাজার মোড়ে হেফাজত ইসলামের সমাবেশে অস্ত্র উঁচিয়ে গুলি করার দৃশ্য সে সময় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হলে আলোচনায় আসেন মাসুম। এ ঘটনার পর মাসুমের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন তৎকালীন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রয়াত এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী। তবে শাপলা চত্বরের ঘটনার পর চট্টগ্রামে এ ধরনের সরকারবিরোধী একটি সমাবেশ ঠেকিয়ে দেওয়ায় সরকারের সুনজরেও পড়েছিলেন মাসুম।