তার নাম রাখা হয়েছে ‘জমিদার’। গায়ে কালোর সঙ্গে লাল রঙের ছোপ। পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় নাদুস-নুদুস গরুটি যে কারও নজর কাড়বেই। আগ্রহভরে জানতে চাওয়া হলো গরুটির দাম। বিক্রেতা দরাজ কণ্ঠে দিলেন হাঁক, ১৫ লাখ!
গরুটি সাগরিকা বাজারে নিয়ে এসেছেন বুলবুল আহমেদ। বাড়ি তার চুয়াডাঙার আলমডাঙা উপজেলার পাইকপাড়া গ্রামে। তবে শুধু জমিদারই নয়, এবার তিনি নিয়ে এসেছেন আরো বেশ কয়েকটি বড় গরু।
‘নবাব’ ও ‘রাজাবাবু’ নামের গরু দুটির জন্য বুলবুল চাইছেন ১৪ লাখ টাকা করে। এর বাইরে ‘সম্রাট’-এর জন্য ১২ লাখ ও ‘চেয়ারম্যান’-এর জন্য ১০ লাখ টাকা দাম হাঁকছেন তিনি।
সোমবার (৫ জুলাই) নগরের গরুর বাজারগুলো ঘুরে দেখা মিলেছে আরো বেশ কয়েকটি বড় গরুর দেখা।
অলংকার কলাবাগান বাজারে উঠেছে লাল রঙের ‘লালবাহাদুর’। কুষ্টিয়া থেকে আসা গরুটির জন্য বিক্রেতা দাম চাইছেন ১০ লাখ টাকা।
সাগরিকা মোড়ের মাসুমের কোরবানির হাটে তোলা হয়েছে কুষ্টিয়া থেকে আনা ‘রাজবাহাদুর’। গরুটির জন্য দাম চাওয়া হচ্ছে ৮ লাখ টাকা।
এর বাইরে নগরের বিবিরহাট, মইজ্যারটেক, স্টিলমিল বাজার, খতিবের হাট ও নুর নগর হাউজিংয়ের মাঠেও প্রতিদিন উঠছে গরু।
নগরের অধিকাংশ বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এবার ছোট ও মাঝারি গরুর সংখ্যা তুলনামূলক কম। তবে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা গরুগুলোর মধ্যে অধিকাংশের দাম হাঁকা হচ্ছে লাখ টাকার উপরে।
বিবিরহাটে আসা শাহাদাত হোসেন জয়নিউজকে বলেন, এ নিয়ে তিনটি বাজার ঘুরলাম। ছোট ও মাঝারি গরুর সংখ্যা খুব কম। অধিকাংশ গরুর দাম হাঁকা হচ্ছে ৭০-৮০ হাজার টাকা থেকে কয়েক লাখ টাকা পর্যন্ত।
এদিকে নগরের প্রধান হাটগুলোতে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক ছাগল ও মহিষও উঠেছে। তবে বাজারে আসা ক্রেতাদের বক্তব্য, দাম চাওয়া হচ্ছে বেশি।