আর ক’দিন পরেই কোরবানির ঈদ। তবে এখনও জমে ওঠেনি নগরের সবচেয়ে বড় হাটগুলোর একটি, সাগরিকা বাজার। বিভিন্ন বয়সের মানুষ আসছেন, কেউ কেউ দামও জিজ্ঞেস করছেন, তবে কিনছেন খুব কম।
সোমবার (৫ জুলাই) সাগরিকা বাজার ঘুরে দেখা যায়, বিভিন্ন প্রজাতির গরু থাকলেও দেশি গরুর চাহিদা তুলনামূলক বেশি।
এদিকে এবার গরুর দাম নাগালের মধ্যেই রয়েছে বলে দাবি করেছেন গরুর বেপারিরা। তারা জানান, ক্রেতারা এখনও বাজার যাচাই করে দেখছেন। বাজারে গরুর সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে। প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ট্রাকে ট্রাকে গরু আসছে।
চাঁদপুর থেকে গরু নিয়ে আসা বেপারি আবদুল্লাহ আলম জয়নিউজকে বলেন, ২৮টি গরু নিয়ে বুধবার এখানে এসেছি। তবে এখনও ক্রেতা কম।
কুমিল্লা থেকে এসেছেন আমিন উল্লাহ। তিনি জয়নিউজকে বলেন, আমি ৩০টি গরু নিয়ে এসেছিলাম। গত দুইদিনে মাত্র চারটি বিক্রি হয়েছে। আশা করছি বুধবার থেকে বিক্রি বাড়বে।
আব্দুল আজিজ নামে এক বেপারি বলেন, এ বছর বাজারে মাঝারি সাইজের গরুর চাহিদা বেশি। তবে বড় গরুর ক্রেতাও আছে।
তিনি আরো বলেন, বাজারে এখনও বেচাকেনা কম। গত তিনদিনে আমি মাত্র চারটি গরু বিক্রি করেছি। তবে আশা করছি বৃহস্পতিবার থেকে বাজারে পুরোদমে গরু বেচাকেনা হবে।
মুরাদপুর এলাকার বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম জয়নিউজকে বলেন, বাসায় জায়গা কম, তাই ভাবছি ঈদের দুই-তিনদিন আগে গরু কিনব। যদি এর মধ্যে গরু পছন্দ হয় এবং দামও বাজেটের মধ্যে থাকে, তাহলে কিনে ফেলব।
হালিশহর এলাকার নুরুল আবছার জয়নিউজকে বলেন, এর আগেও একদিন বাজারে এসেছিলাম। আজ ৬০ হাজার টাকা দিয়ে একটা গরু কিনলাম।