বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ৭৮তম প্রয়াণ দিবস আজ। ১৯৪১ সালের ৬ আগস্ট, বাংলা ১৩৪৮ সনের ২২ শ্রাবণ কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়িতে পরলোকে গমন করন কবিগুরু।
৮০ বছরের জীবন সাধনায় কবিগুরু মৃত্যুকে নিয়ে গভীর জীবনতৃষ্ণায় লিখেছেন, ‘মরিতে চাহি না আমি সুন্দর ভূবনে, মানবের মাঝে আমি বাঁচিবার চাই।’
জীবদ্দশায় মৃত্যুকে তিনি জয় করেছেন বারবার। মৃত্যুকে তিনি করেছেন ‘মরণ রে, তুঁহু মম শ্যাম সমান। মেঘবরণ তুঝ, মেঘ জটাজুট! রক্ত কমলকর, রক্ত-অধরপুট, তাপ বিমোচন করুণ কোর তব মৃত্যু- অমৃত করে দান।’
৮ বছর বয়সে তিনি কবিতা লেখা শুরু করেন। ১৮৭৪ সালে তত্ত্ববোধিনী পত্রিকায় তাঁর “অভিলাষ” কবিতাটি প্রথম প্রকাশিত হয়। ১৯১৩ সালে গীতাঞ্জলি কাব্যের জন্য তিনি সাহিত্যে নোবেন পান।
রবীন্দ্রনাথের পরলোকগমনের মধ্য দিয়ে বাংলাভাষা ও সাহিত্যের সবচেয়ে প্রদীপ্ত নক্ষত্রটি খসে পড়ে। কবিতা, গান-ছোটগল্প, উপন্যাসসহ সাহিত্যের সব শাখাতেই তিনি বিচরণ করেছেন। তাঁর রচনাকৃত গান ১৯১৫টি। এ ছাড়াও চিত্রকলা ও বিভিন্ন দেশ হিতৈষণামূলক কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিলেন তিনি।
বিংশ শতাব্দীর বাঙালি সংস্কৃতিতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রভাব অত্যন্ত ব্যাপক। নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ও দার্শনিক অমর্ত্য সেন কবিকে এক “হিমালয়প্রতিম ব্যক্তিত্ব” ও “গভীরভাবে প্রাসঙ্গিক ও বহুমাত্রিক সমসাময়িক দার্শনিক” হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
জয়নিউজ/আরএস/পিডি